কেন্দ্রীয় কৃষি আইনের প্রতিবাদে ফের বনধের ডাক দিলেন কৃষকরা। নতুন তিন কৃষি আইন ইস্যুতে আন্দোলন আরও জোরালো করার উদ্দেশ্যে আগামী ২৬শে মার্চ ভারত বনধের ডাক দিয়েছে কৃষক ইউনিয়ন। তিন কৃষি আইন বাতিলের দাবিতে দিল্লী সীমানা সংলগ্ন এলাকায় কৃষকদের বিক্ষোভ ইতিমধ্যেই ১০০ দিন পার করেছে। এই প্রেক্ষিতে ফের ভারত বনধের ডাক দিলেন তাঁরা। এর আগে গত বছরের ডিসেম্বরেও ভারত বনধ ডেকেছিলেন কৃষকরা। কৃষি আইনের প্রতিবাদে কয়েকদিন আগে রেল রোকো কর্মসূচীও করেন কৃষকরা।
জানা যাচ্ছে, শুক্রবার সকাল ৬টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত দেশজুড়ে বনধ পালন করা হবে। বনধের সময় রেল, যান চলাচল বন্ধ থাকতে পারে। কৃষকদের ডাকা বনধের জেরে বন্ধ থাকতে পারে দোকানপাট। কৃষকনেতা দর্শন পাল জানিয়েছেন, “আমরা ভারতবাসীর কাছে আবেদন করব, যাতে কৃষকদের গৌরবের স্বার্থে এই ভারত বনধকে তাঁরা সফল করেন।” ভারত বনধকে সমর্থন জানিয়েছে অন্ধ্রপ্রদেশের ওয়াইএসআর কংগ্রেস পার্টি।
প্রসঙ্গত, ইতিমধ্যে ১১ বার মোদী সরকারের সঙ্গে আলোচনার টেবিলে মুখোমুখি হয়েছেন কৃষকরা। তিন কৃষি আইন বাতিল করতেই হবে, এ দাবিতে এখনও অনড় তাঁরা। তাঁদের ওই দাবির পরিবর্তে ১২-১৮ মাসের জন্য নয়া আইন স্থগিত রাখার প্রস্তাব দিয়েছিল সরকার। কিন্তু, তা মানতে নারাজ দেশের অন্নদাতারা। এখনও মেলেনি সুরাহা। কৃষক নেতা রাকেশ টিকাইত হুঁশিয়ারির সুরে বলেছিলেন, “২রা অক্টোবর পর্যন্ত সময়। তার মধ্যে আইন প্রত্যাহার না করা হলে কৃষকরা অন্য রাস্তা বেছে নেবেন।”
পাশাপাশি রাকেশ জানান, “কমিটির সঙ্গে সরকার বৈঠক করতে রাজি না হলে আমাদের বিক্ষোভ জারি থাকবে। দেশজুড়ে ফসলের ন্যূনতম ও সর্বোচ্চ দাম থাকা উচিত।” উল্লেখ্য, গত কয়েকদিন ধরেই এ বিষয়ে মুখে কুলুপ এঁটেছে কেন্দ্রীয় সরকার। মোদী সরকারের এমন নীরবতা নিয়ে সম্প্রতি আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন টিকাইত। সরকারের এই নীরবতা দেখে টিকাইত বলেছেন, কৃষক বিক্ষোভের বিরুদ্ধে নিশ্চয়ই কিছু পরিকল্পনা করছে সরকার। বিক্ষোভরত কৃষকদের সঙ্গে বৈঠকের জন্য সরকারকে এগিয়ে আসতে হবে বলে সোচ্চার হয়েছেন রাকেশ। তিনি বলেছিলেন, “গত ১৫-২০ দিন ধরে নীরব সরকার। এতেই বোঝা যাচ্ছে, কিছু একটা ঘটছে। বিক্ষোভের বিরুদ্ধে সরকার কিছু পরিকল্পনা করছে।”