তখন তাঁর ঋতুস্রাবের দ্বিতীয় দিন। তা নিয়েও নিজের বাড়িতে নিজে সরস্বতী পুজো করেছিলেন রায়গঞ্জের কলেজ পড়ুয়া ঊষসী চক্রবর্তী। ট্যাবু কাটাতে সেই খবর নিজেই সোশ্যাল মিডিয়ায় জানান তিনি। আর সেই খবর প্রকাশ্যে আসতেই শুরু হয় কুৎসিত ট্রোলিং। এবার সেই পুরোনো পোস্টের রেশ টেনে ভোটের মুখে নতুন সমস্যায় ঊষসী। ফেসবুকে কিছু লোকের স্ক্রিনশট শেয়ার করেছেন তিনি। আর পোস্টের ক্যাপশনে লিখেছেন, ভোটের আগে দয়া করে একটু সচেতন হন।
কিন্তু একুশের ভোটের আগে এমন পোস্ট কেন? কে ঊষসী জানাচ্ছেন, স্যোশাল মিডিয়া থেকে শুরু করে কমেন্ট বক্স, এমন কী ফোন করেও তাঁকে হুমকি দেওয়া হচ্ছে। অশালীন ভাষায় আক্রমণকারীরা সবাই বিজেপির সমর্থক বলেই দাবি করেন ঊষসী। ঊষসী নিজের ফেসবুকে শেয়ার করেছেন এমনই এক অভিযুক্তের প্রোফাইল লিঙ্ক। ফেসবুকের প্রোফাইলে নিজেকে বিজেপি সদস্য বলে দাবি করে দীপ মন্ডল নামের এক ব্যক্তি ঊষসীকে লেখেন, হিন্দু ধর্ম বলেই এখনও পর্যন্ত আপনি সুরক্ষিত। অন্য ধর্ম হলে ওই ঋতুমতী অবস্থাতেই ধর্ষণের স্বীকার হতেন।
এছাড়াও, আরও একাধিক প্রশ্নের সম্মুখীন হতে হয়েছে তাঁকে। অশূচি অবস্থায় কেন পুজো করলেন তা নিয়েও আপত্তিকর প্রশ্নের মুখে পড়তে হয়েছে ঊষসীকে। তাঁর অভিযোগ, বিজেপির কর্মী সমর্থকেরাই তাঁকে দিনরাত এভাবে উত্যক্ত করছেন। যুগে যুগে নারীর কন্ঠ রোধ হয়েছে। ঋতুচক্র মানেই যেন কুন্ঠা, ফিসফাস আলোচনা কিংবা লুকিয়ে রাখা, কিন্তু সত্যিই কী তা যুক্তিযুক্ত? সমাজের জটগুলো ছাড়িয়ে সুস্থ মানসিকতার স্বপ্ন দেখেন ঊষসী। তাই মানুষের এই ব্যবহারে রাগ নয়, বেদনাহত হয়েছেন তিনি।