২০১৯-২০ আর্থিক বছরে সুদের হার যা ছিল, চলতি আর্থিক বছরেও প্রভিডেন্ট ফান্ডে সুদের হার সেই সাড়ে আট শতাংশই থাকছে। এই নিয়ে গত ৩টি আর্থিক বর্ষে হার একই থাকল। কেন্দ্রীয় শ্রমমন্ত্রী সন্তোষ গঙ্গোয়ার বৃহস্পতিবার জানিয়েছেন, শ্রীনগরে পিএফের ট্রাস্টি বোর্ডের এক বৈঠকে সুদের হার অপরিবর্তিত রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
করোনা সঙ্কটের মধ্যে পিএফ থেকে অনেকে টাকা তুলে নিয়েছেন। অনেকক্ষেত্রে পিএফের টাকা যথাযথভাবে জমা পড়েনি। তাই অনেকের ধারণা হয়েছিল, এবার পিএফে সুদের হার কমতে পারে। ২০১৮-১৯ সালে পিএফে সুদের হার ছিল ৮.৬৫ শতাংশ। গতবছর মার্চ মাসে সুদ কমিয়ে ৮.৫ শতাংশ করা হয়। এর আগে ২০১৫-১৬ সালে সুদের হার ছিল ৮.৮ শতাংশ। ২০১৭-১৮ সালে সুদ কমে হয় ৮.৫৫ শতাংশ।
গত বাজেটে কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমন বলেন, পিএফের যে গ্রাহকরা ওই তহবিলে এক বছরে আড়াই লক্ষ টাকার বেশি জমা দিয়েছেন, তাঁরা আগামী মাস থেকে ৮.৫ শতাংশ করমুক্ত রিটার্ন পাবেন না। এবারের বাজেটে জানা যায়, চলতি আর্থিক বছরে রাজকোষ ঘাটতি পৌঁছতে পারে জিডিপি-র ৯.৫ শতাংশে। করোনা অতিমহামারীর ফলে রাজকোষ ঘাটতির রেকর্ড হতে পারে ২০২০-২১ সালে।
রিজার্ভ ব্যাঙ্কের গভর্নর শক্তিকান্ত দাস বলেছেন, আগামী আর্থিক বছরে ১২ লক্ষ কোটি টাকা ঋণ করা হতে পারে। তাঁর দাবি, চলতি আর্থিক বছরে রাজকোষ ঘাটতির যে লক্ষ্যমাত্রা স্থির করা হয়েছিল, তা কোভিড অতিমহামারীর জন্য পূরণ করা যায়নি রাজকোষ ঘাটতি যত বেশি হয়, সরকারকে তত বেশি ঋণ নিতে হয়। উল্লেখ্য, আর্থিক ঘাটতির মোকাবিলা করার জন্য কেন্দ্রীয় সরকার চারটি মাঝারি মাপের ব্যাঙ্ক বেসরকারি হাতে তুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। যা নিয়ে গোটা দেশেই বিতর্ক শুরু হয়েছে।