গত ১৬ জানুয়ারি দেশে শুরু হয়েছিল টিকাকরণ। তার কয়েকদিন পর থেকেই বিদেশেও টিকা রপ্তানি করা শুরু করেছিল কেন্দ্র। এবার সেই নিয়েই মোদী সরকারকে বার্তা দিল দিল্লী হাইকোর্ট। জানালো, বিদেশে পরে টিকা পাঠালেও চলবে। কিন্তু আগে দেশের নাগরিকদের টিকাকরণ বেশি ‘জরুরি। একই সঙ্গে বিষয়টি নিয়ে কেন্দ্রকে ভাবনা চিন্তা করার নির্দেশ দিল দিল্লী হাইকোর্ট।
চলতি মাসের শুরু থেকে দ্বিতীয় দফার টিকাকরণ কর্মসূচি শুরু হয়েছে দেশজুড়ে। এই পর্বে টিকা পাচ্ছেন মূলত ষাটোর্ধ্ব বয়স্করা এবং ৪৫–৬০ বছর বয়সীদের মধ্যে যাঁদের কো–মর্বিডিটি রয়েছে, তাঁরা। যেখানে এখনও অধিকাংশ মানুষকেই টিকা দেওয়া বাকি, সেখানে বিদেশে রপ্তানি করা হচ্ছে টিকা। তা নিয়েই মূলত প্রশ্ন তুলেছে আদালত। এছাড়া কাদের টিকা দেওয়া হবে, সেই সংক্রান্ত যাবতীয় সিদ্ধান্ত কোন যুক্তিতে মোদী সরকার একা নিচ্ছে, সেই নিয়েও প্রশ্ন তোলে আদালত।
বিচারক, আইনজীবী, আদালতের কর্মীদেরও টিকা পাওয়া উচিত, এই দাবিতে একটি জনস্বার্থ মামলা দায়ের হয়েছিল দিল্লী হাইকোর্টে। সেই মামলার শুনানিতে বিচারক বিপিন সাঙ্ঘি এবং রেখা পাল্লির বেঞ্চ জানায়, “কম সময়ে আরও বেশি টিকা তৈরি করার ক্ষমতা এবং পরিকাঠামো রয়েছে ওষুধ প্রস্তুতকারক সংস্থা সেরাম এবং ভারত বায়োটেকের। কিন্তু তা হচ্ছে না। নিজেদের নাগরিকদের টিকা না দিয়েই আমরা বিদেশে টিকা পাঠাচ্ছি। এটা উচিত নয়। আগে দেশের সমস্ত জনগণের টিকা পাওয়া প্রয়োজন। তারপর বিদেশে রপ্তানি হোক।