আসাম সফরে গিয়েছেন কংগ্রেসের মহাসচিব প্রিয়াঙ্কা। মঙ্গলবার তাঁর সফরের দ্বিতীয় দিন। এদিন সকালে তিনি হঠাৎ করেই হাজির হলেন চা-শ্রমিকদের মাঝে। বিজেপির আসামে নির্বাচনী প্রচারের দায়িত্ব নিয়েছেন প্রিয়াঙ্কা গান্ধী। এবার কংগ্রেসের তরফে এক অভিনব পন্থা নেওয়া হয়েছে। রাহুল হোন বা প্রিয়াঙ্কা, কংগ্রেসের শীর্ষ নেতারা একেবারে সাধারণ মানুষের মধ্যে মিশে যেতে চাইছেন। কিছুদিন আগে রাহুল গান্ধী কেরালায় মৎস্যজীবীদের সঙ্গে সমুদ্রে নেমেছিলেন। তিনি জানিয়েছিলেন, মৎস্যজীবীদের দৈনন্দিন জীবনের সংগ্রাম তিনি অনুভব করতে চান। আর এবার আসামের চা বাগানে শ্রমিকদের মাঝে হাজির হলেন প্রিয়াঙ্কা গান্ধী। একেবারে শ্রমিক সেজেই।
চা-শ্রমিকদের দুঃখ-দুর্দশার কথা শুনলেন প্রিয়াঙ্কা। সরকার আসে, সরকার যায়। কিন্তু চা শ্রমিকের জীবন সেই অন্ধকারেই থেকে যায়। চা শিল্পের প্রধান কারিগর শ্রমিকরাই। কিন্তু তাঁদেরই বছরের পর বছর ধরে শোচনীয় অবস্থা। মঙ্গলবার তেজপুরে মাথায় চুপড়ি নিয়ে চা শ্রমিকদের মাঝে হাজির হলেন প্রিয়াঙ্কা। কথা বললেন তাঁদের সঙ্গে। সমস্যার কথাও শুনলেন। আসামের চায়ের নাম ও সুগন্ধ সারা বিশ্বে ছড়িয়েছে। সেখানে শ্রমিকদের এমন দুর্দশার কথা শুনে অবাক হন কংগ্রেস মহাসচিব। এদিন প্রিয়াঙ্কা গান্ধী টুইটে লিখলেন, আসামের বহু রঙের সংস্কৃতিই ওদের শক্তি। এই সংস্কৃত বাঁচানোর জন্যই আসামের মানুষ মরিয়া হয়ে উঠেছে। এই সফরে গিয়ে আমি সেটা বুঝতে পারলাম। ওদের লড়াইয়ে সামিল হবে কংগ্রেস। আমি কথা দিচ্ছি।
এদিন তেজপুরের মহাভৈরব মন্দির দর্শনে যাবেন প্রিয়াঙ্কা গান্ধী। তেজপুরের একটি নির্বাচনী জনসভাতেও বক্তৃতা রাখবেন তিনি। আসামে পৌঁছে আদিবাসীদের সঙ্গে বেশ কিছুটা সময় কাটিয়েছিলেন প্রিয়াঙ্কা গান্ধী। বিভিন্ন কর্মসূচিতে বারবার কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে সরবও হয়েছেন তিনি।