আগামী ৪-৮ মার্চ আহমেদাবাদের মোতেরাতেই হবে ভারত-ইংল্যান্ড সিরিজের চতুর্থ তথা অন্তিম টেস্ট। এই ম্যাচ ড্র করলেই বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে পৌঁছে যাবে টিম ইন্ডিয়া। তবে বিরাট কোহলিদের শরীরী ভাষা দেখে মনে হচ্ছে, তাঁরা ড্রয়ের কথা ভাবছেন না। জয়ের ধারা অব্যাহত রেখেই পাকা করতে চান লর্ডসের টিকিট। তাই পিঙ্ক বল টেস্টে জয়ের রেশ কাটিয়ে ফের লাল বলে মহড়া শুরু করে দিলেন রোহিত-অশ্বিনরা।
সিরিজে ২-১ ব্যবধানে টিম ইন্ডিয়া এগিয়ে থাকলেও আত্মতুষ্টি থাবা বসাক, সেটা একেবারেই চাইছেন না হেড কোচ রবি শাস্ত্রী। শেষ টেস্টে আরও শক্তিশালী ভারতকে দেখতে চান তিনি। আর সে জন্য অনুশীলনই যে একমাত্র বিকল্প, সেটা বিলক্ষণ জানেন রবি। আর তাই হোটেলে বসে না থেকে প্র্যাকটিসে নেমে পড়লেন তাঁরা। গতকালের অনুশীলনে দলের প্রথম সারির ব্যাটসম্যানদের উপর বাড়তি নজর রেখেছিলেন শাস্ত্রী।
এদিকে, মোতেরার পিচ নিয়ে ইংল্যান্ডের উইকেটরক্ষক ব্যাটসম্যান বেন ফোকস সাংবাদিক সম্মেলনে জানান, “গত দু’টি ম্যাচে খুবই কঠিন পিচে খেলতে হয়েছে। বিশেষ করে যে উইকেটে গোলাপি টেস্ট হয়েছে, তা আমার কাছে ছিল খুবই আশ্চর্যের। বল পড়ে পিছলে যাচ্ছিল। এত টার্ন কখনও দেখিনি। ব্যাটসম্যানদের পক্ষে সত্যিই চ্যালেঞ্জিং। কখনও কখনও মনে হচ্ছিল, ম্যাচের প্রথম নয়, পঞ্চম দিনের খেলা চলছে। উইকেটকিপারের কাজটাও সহজ হয় না। এই ধরনের পিচে সব ক্যাচ ধরা সম্ভব নয়। তবে স্পিনের বিরুদ্ধে আমাদের খেলতে হবে আরও সাবধানে। গেমপ্ল্যানও স্পষ্ট হওয়া দরকার। সিরিজ ড্র করতে পারলেই খুশি হব।”
এদিকে, ইংল্যান্ডের প্রাক্তন তারকা স্পিনার মন্টি পানেসরের মতে, চতুর্থ টেস্টেও যদি মোতেরার পিচ একই রকম আচরণ করে, তাহলে পদক্ষেপ নেওয়া উচিত আইসিসি’র। তিনি বলেন, “তৃতীয় টেস্টে দুই দলের ব্যাটিং দেখে মনে হচ্ছিল, যেন সপ্তাহান্তের ক্লাব ক্রিকেট চলছে। এমন টার্নিং পিচে বিপক্ষ দলকে একশোর মধ্যে গুটিয়ে দেওয়া যতটা সহজ, সেই রান তাড়া করা ততটাই কঠিন। ব্যাটসম্যানদের নাভিঃশ্বাস উঠে যায়। আমি মনে করি, বিশ্বের সবচেয়ে বড় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টেস্ট ম্যাচের মেয়াদ আরও দীর্ঘায়িত হওয়া উচিত ছিল। এত ভালো পরিবেশ ও দর্শনীয় মাঠে দু’দিনে খেলা শেষ হয়ে যাওয়া মোটেই মানায় না।”