প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী আসেননি। উপস্থিত ছিলেন না কোনও কেন্দ্রীয় মন্ত্রীই। এমনকি এক জন ছাড়া অনুপস্থিত সমস্ত সাংসদও। প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী মোরারজি দেশাইয়ের জন্মবার্ষিকীতে সংসদের সেন্ট্রাল হলে তাঁর ছবির সামনে শ্রদ্ধা জানাতে শুধু এসেছিলেন সুব্রহ্মণ্যম স্বামী।
সংসদের সচিবালয়ের কয়েক জন অফিসার ছাড়া আর কাউকে সেখানে না-দেখে তোপ দেগেছেন বিজেপি সাংসদ স্বামী। মোদী ও তাঁর সরকারের মন্ত্রীদের অনুপস্থিতিকে বিঁধে টুইটে কটাক্ষ করে বিজেই নেতা বলেন, ‘গুজরাতের জন্য এ কী ধরনের সম্মান!’
এমনিতেই মোতেরায় সর্দার বল্লভভাই পটেলের নামাঙ্কিত স্টেডিয়াম ভেঙে তৈরি নতুন স্টেডিয়াম নরেন্দ্র মোদীর নামে রাখায় পটেল তথা গুজরাতের অসম্মান করা হয়েছে বলে অভিযোগ তুলেছে কংগ্রেস। তারই মধ্যে বিজেপি সাংসদ স্বামী ‘গুজরাতের সম্মান’ নিয়ে প্রশ্ন তোলায় বিজেপি শিবির অস্বস্তিতে।
এ দিন বেলা ১২টা নাগাদ স্বামী এ বিষয়ে টুইট করেন। তখনও পর্যন্ত মোদী দেশের প্রথম অ-কংগ্রেসি প্রধানমন্ত্রীর জন্মদিবসে শ্রদ্ধা জানিয়ে কোনও টুইট করেননি। স্বামীর টুইটের ঘন্টা খানেক পরে টুইট করে মোরারজি দেশাইকে শ্রদ্ধা জানান মোদী। সেখানে তাঁর বক্তব্য, দেশাই মানুষের কল্যাণে নিরলস পরিশ্রম করেছেন। তিনি তাঁর সততা ও গণতন্ত্রের প্রতি দায়বদ্ধতার জন্য পরিচিত ছিলেন।
স্বামী অবশ্য এর আগে নরেন্দ্র মোদীর নামে স্টেডিয়ামের নামকরণেরও কড়া সমালোচনা করেছিলেন। স্টেডিয়াম উদ্বোধনের পরে বলেছিলেন, ‘আর কোনও রাষ্ট্রনেতা আছেন, যিনি নিজের নামে স্টেডিয়ামের নাম রাখতে দেন? আমার গবেষণা বলে, মাত্র দু’জন এ কাজ করেছিলেন। (ইরাকের) সাদ্দাম হুসেন ও (লিবিয়ার মুয়াম্মর) গদ্দাফি। এটি অশুভ। (জওহরলাল) নেহরু, মাও (জে দং) বা ইদি আমিন কি এ কাজ করেছেন? মোদীর উচিত তাঁর নিজেরটি স্টেডিয়ামে সর্দার পটেলের নাম ফেরাতে বলা।’