দেশজুড়ে চলতে থাকা কোভিড টিকাকরণের মধ্যেই ফের আশঙ্কার আবহ তৈরি হল দেশে। ভ্যাকসিন নেওয়ার ক্ষেত্রে অগ্রাধিকারের তালিকায় ছিল ডাক্তারি পড়ুয়ারা। এর মধ্যেই কোভিশিল্ডের দ্বিতীয় ডোজ নেওয়ার পরও করোনা আক্রান্ত হলেন এক এমবিবিএস পড়ুয়া। ফাইনাল ইয়ারের শিক্ষার্থী ছিলেন তিনি। যদিও চিকিৎসকদের দাবি টিকাকরণের পরও দেহে অনাক্রম্যতা তৈরি হতে দরকার বেশ কিছুটা সময়।
উল্লেখ্য, ২১ বছর বয়সি এই পড়ুয়া গত সপ্তাহেই কোভিশিল্ডের দ্বিতীয় ডোজটি নিয়েছিলেন। কিন্তু এরপর কয়েকদিন ধরে করোনা সংক্রমণের উপসর্গ দেখতে পান। এরপর পরীক্ষা করতেই দেখা যায় তিনি করোনা পজিটিভ। শনিবার রাতে তাকে সেভেন হিলস হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। পড়ুয়ার হস্টেলের সঙ্গীদেরও এই ঘটনার পর আইসোলেশনে রাখা হয়েছে।
এপ্রসঙ্গে সেভেন হিল হাসপাতালের ইনচার্জ ডাঃ বলকৃষ্ণ আডসুল বলেন, “যে সকল ব্যক্তি টিকা নিচ্ছে তাঁদের সবার দেহে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে প্রতিরোধ ক্ষমতা নাও তৈরি হতে পারে। যে শিক্ষার্থীর হালকা লক্ষণ রয়েছে তা স্থিতিশীল। একটি টিকা দেওয়ার পরে ভাইরাসটির বিরুদ্ধে প্রতিরোধ ক্ষমতা সম্পূর্ণরূপে তৈরি হতে ৪৫ দিন সময় লাগতে পারে। মেডিকেল শিক্ষার্থী দ্বিতীয় ডোজ পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই আক্রান্ত হয়েছে।”
স্বাভাবিকভাবেই এরপর ফের টিকার কার্যকারিতা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে দেশে। যদিও সিওন হাসপাতালের ডিন ডাঃ মোহন জোশী বলেন যে তারা বেশ কয়েকটি ক্ষেত্রে দেখেছেন যে টিকা দেওয়ার পরেও স্বাস্থ্যকর্মীরা করোনা ভাইরাস সংক্রামিত হয়েছেন। তিনি বলেন, “কারণ দেহে প্রতিরোধ ক্ষমতা তৈরি করার আগে তারা সংক্রামিত হয়েছিল। এমনকী টিকা দেওয়ার পরেও আমরা কর্মীদের সমস্ত কোভিড -১৯ সুরক্ষা প্রোটোকল অনুসরণ করার পরামর্শ দিচ্ছি।”