রবিবার সাতসকালেই গোটা দেশবাসীর উদ্দেশ্যে ‘মন কি বাত’-এ বক্তব্য রাখতে এসেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। সেখানে তাঁর বক্তব্যে উঠে এসেছে সাধারণতন্ত্র দিবসের ট্র্যাক্টর মিছিলে হওয়া হিংসার প্রসঙ্গ। তাঁর কথায়, “লালকেল্লার ঘটনায় স্তম্ভিত গোটা দেশ।” প্রধানমন্ত্রীর এমন বক্তব্যের প্রতিক্রিয়া দিতে গতকালই জাতীয় পতাকার অবমাননাকারীকে গ্রেফতারের দাবি জানিয়েছিলেন কৃষক নেতা রাকেশ টিকায়েত। এরপর তাঁকে আক্রমণ করলেন বর্ষীয়ান কংগ্রেস নেতা দিগ্বিজয় সিং। টুইটে প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যকে “কুমিরের কান্না বন্ধ করুন” বলেও কটাক্ষ করেন তিনি।
উল্লেখ্য, গত রবিবার এই বছরের প্রথম ‘মন কি বাত’ ছিল। সেখানেই প্রধানমন্ত্রীকে বলতে শোনা যায়, “২৬ জানুয়ারি লালকেল্লায় জাতীয় পতাকার অবমাননা হয়েছে। যা দেখে দেশবাসী স্তম্ভিত।” তাঁর এই মন্তব্যকে আক্রমণ করে টুইট করেন দিগ্বিজয়। লেখেন, “যখন আরএসএস স্বাধীনতার পরে কয়েক দশক ধরে জাতীয় পতাকা তুলতে অস্বীকার করেছিল, তখন আপনি ‘স্তম্ভিত’ হননি কেন? এটা কুমিরের কান্না।”
পাশাপাশি তিনি তুলে এনেছেন দীপ সিধুর প্রসঙ্গও। তাঁর প্রশ্ন, “দীপ সিধুর ব্যাপারটা কী হল মাননীয় প্রধানমন্ত্রী? অন্য কৃষক নেতারা যেখানে অনুমতি পাননি, সেখানে উনি কী করে লালকেল্লায় ঢুকবার অনুমতি পেলেন? যখন ওই ঘটনা ঘটছিল, তখন দিল্লী পুলিশই বা কী করছিল? আর হ্যাঁ, দীপ সিধু কোথায়? আমি নিশ্চিত আপনার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক ওঁর গতিবিধির বিষয়ে অবগত। বোকা বানানো বন্ধ করুন।”
উল্লেখ্য, সাধারণতন্ত্র দিবসে লালকেল্লায় কৃষক সংগঠনের পতাকা ‘নিশান সাহিব’ উড়িয়েছিলেন বিক্ষুব্ধ কৃষকরা। এই ঘটনায় তোলপাড় হয় গোটা দেশ। নিন্দায় সরব হয় দেশবাসী। প্রধানমন্ত্রীর ভাষণেও সেই প্রসঙ্গই উঠে এসেছে। এবার তার পাল্টা দিলেন কংগ্রেস নেতা। এদিকে কৃষি আইন নিয়ে কেন্দ্রের সঙ্গে আলোচনায় রাজি কৃষকরাও। প্রধানমন্ত্রীর প্রস্তাবের পরই এমন বার্তা পাঠিয়েছে কৃষক সংগঠনের সংযুক্ত মোর্চা।