নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর ১২৫তম জন্মদিন। আগেই এই দিনটিকে ‘দেশনায়ক দিবস’ হিসেবে ঘোষণা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মুখ্যমন্ত্রীর শঙ্খধ্বনির মাধ্যমে নেতাজী জন্মজয়ন্তীতে শুরু হয়েছে শ্যামবাজার থেকে রেড রোডে সুভাষচন্দ্রের মূর্তির পাদদেশ পর্যন্ত পদযাত্রা। এর আগে নেতাজি ভবনের অনুষ্ঠানে যোগ দেন মমতা। দেশের স্বাধীনতা সংগ্রামে সুভাযচন্দ্র বসুর বীরগাথা স্মরণ করিয়ে দেন তিনি।
শ্যামবাজার পাঁচ মাথার মোড় থেকে সওয়া ১২টা নাগাদ এই শোভাযাত্রা শুরু হয়। ভূপেন বসু অ্যাভিনিউ, যতীন্দ্রমোহন অ্যাভিনিউ, চিত্তরঞ্জন অ্যাভিনিউ, ধর্মতলা, রানি রাসমণি অ্যাভিনিউ হয়ে রেড রোডে সুভাষচন্দ্রের মূর্তি পর্যন্ত প্রায় ৮ কিলোমিটার যাবে ওই মিছিল। মিছিলের পুরোভাগে রয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, সাংসদ নুসরৎ-সহ শাসক শিবিরেরে নেতারা।
নেতাজির ১২৫তম জন্মজয়ন্তীতে আর একটু পরেই শহরে আসবেন প্রধানমন্ত্রী মোদী। ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়ালে দুটি গ্যালারি উদ্বধন অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন প্রধানমন্ত্রী। সেখানে আমন্ত্রিত মুখ্যমন্ত্রীও। ফলে মোদী-মমতা সাক্ষাতেরও সম্ভাবনা রয়েছে।
সকালেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নেতাজির জন্মদিনে শ্রদ্ধা জানিয়ে টুইটে লেখেন, ‘এক বৃহৎ পদযাত্রার আয়োজন করা হয়েছে আজ। চলতি বছর প্রজাতন্ত্র দিবসের প্যারেডও নেতাজির নামেই উৎসর্গ করা হবে।২৩ জানুয়ারির দিনটিকে জাতীয় ছুটি ঘোষণা করুক কেন্দ্র’।’ হ্যাশট্যাগ- ‘দেশনায়ক দিবস’।
পাশাপাশি এদিন সকালে একটি টুইটে মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, আজাদ হিন্দ ফৌজের নামে রাজারহাটে একটি সৌধ তৈরি করবে রাজ্য সরকার৷ এ ছাড়াও সম্পূর্ণ রাজ্যের উদ্যোগে নেতাজির নামে একটি বিশ্ববিদ্যালয় তৈরি করা হবে৷ বিভিন্ন বিদেশি বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে গাঁটছড়া বেঁধে কাজ করবে সেই বিশ্ববিদ্যালয়৷