শুক্রবার রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়ের মন্ত্রীত্ব ত্যাগের দিনই কেশপুরের আনন্দপুর মাঠে জনসভা থেকে তাঁকে চরম কটাক্ষ করলেন মদন মিত্র। সেখানে আজ একটি সভার আয়োজন করেছিল তৃণমূল। মাত্র ২৪ ঘণ্টা আগে ওই মাঠেই বিজেপির হয়ে সভা করেছেন শুভেন্দু অধিকারী। সমালোচনা করেছেন তৃণমূলের। এদিন ওই একই মাঠে দাঁড়িয়ে বিজেপি ও দলত্যাগী শুভেন্দু অধিকারীকে চাঁচাছোলা ভাষায় আক্রমন করলেন মদন মিত্র, দেবাংশু ভট্টাচার্য থেকে শুরু করে জেলা নেতা অজিত মাইতি, বিধায়ক শিউলি সাহা, উত্তরা সিংহ, মহম্মদ রফিকরা।
সেখান থেকে ব্যাঙ্গাত্মক সুরে মদন বললেন, “মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উচিত ছিল ওদের নোবেল দেওয়া।” পাশপাশি, হুঙ্কার ছেড়ে বললেন, “মমতার নুন খেয়েছি। কোনওদিন বেইমানি করব না।” এরপর শুভেন্দুকে নিশানা করে মদনবাবু বলেন, “তুমি ধাপে ধাপে উঠেছ আর সেরকমই ধাপে ধাপে বেইমানি করেছ। ২০১৪ সাল থেকে অমিত শাহর ঘরে গিয়ে গিয়ে বেইমানি করেছ।” এরপরই বেসুরো নেতাদের কটাক্ষ করে তিনি বলেছেন, “এখন সবার নাকি অভিমান হয়েছে, দুঃখ হয়েছে।”
মদনের কথায়, “যুদ্ধে জিততে না পারলে যুদ্ধক্ষেত্রে প্রাণ দেব, কিন্তু অধিকারীদের মতো বেইমানি করব না।” এদিন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নন্দীগ্রাম থেকে লড়াইয়ের সিদ্ধান্ত নিয়ে শুভেন্দু অধিকারীর মন্তব্যের সমালোচনা করেন দলের মুখপাত্র দেবাংশু ভট্টাচার্য। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীও যে ২০১৪ সালের লোকসভা নির্বাচনে বরোদা ও বারানসী থেকে দাঁড়িয়েছিলেন সেকথাও স্মরণ করিয়ে দেন তিনি। তাঁর কটাক্ষ, “বিজেপিতে গেলে শিরদাঁড়াটা বিক্রি করে দিতে হয়।অধিকারীরা সেটাই করেছে।”