এ যেন মগের মুলুক! হওয়ার কথা ছিল মহিলা নিগ্রহ নিয়ে সংসদীয় স্থায়ী কমিটির বৈঠক। কিন্তু সেটাই হয়ে গেল ভোট রাজনীতির তরজার মঞ্চ। আর তারপরই বিজেপিক্র বিঁধে তৃণমূল তুলল রাজ্যের অভিনেত্রীকে গণধর্ষণ ও মাথা কেটে ফেলার হুমকির বিষয়টি।
প্রসঙ্গত, বাংলা ও হরিয়ানার মহিলা নিগ্রহের ঘটনা নিয়ে আলোচনা করতে বৈঠক ডেকেছিল স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের সংসদীয় স্থায়ী কমিটি। বৈঠকে ছিলেন দু’রাজ্যের মুখ্যসচিব, স্বরাষ্ট্রসচিব আর পুলিশের ডিজি-রা। সূত্রের মতে, বৈঠকে বাংলার মুখ্যসচিব আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায় তথ্য-পরিসংখ্যান তুলে ধরে দাবি করেন, রাজ্যে নারী-নিগ্রহের ঘটনা কমছে।
বিজেপির অনিল জৈন পাল্টা প্রশ্ন করেন, গোটা দেশে তবে বাংলায় কেন সবচেয়ে বেশি রাজনৈতিক হিংসার ঘটনা ঘটছে? প্রতিবাদ জানান তৃণমূলের কাকলি ঘোষ দস্তিদার। দাবি করেন, একটি রাজনৈতিক দলের সদস্যরাই খুনোখুনি বাধাচ্ছে। যার জেরে রাজ্যে হিংসার বাতাবরণ তৈরি হয়েছে। সেই কারণে হিংসাত্মক ঘটনা সংখ্যায় বাড়ছে। এতে শাসক দলের কোনও ভূমিকা নেই।
সূত্রের খবর, কাকলি বৈঠকে বলেন, একটি রাজনৈতিক দলের যুব শাখার সদস্যরা এক অভিনেত্রীকে গণধর্ষণ ও মাথা কেটে ফেলার হুমকি দিয়েছে। এরপরেই দু’পক্ষের ঝামেলা বেঁধে যায়। আর তা মেটাতে হস্তক্ষেপ করতে হয় কমিটির চেয়ারম্যান রাজ্যসভার সাংসদ আনন্দ শর্মাকে।
সূত্রের মতে, বৈঠকের শুরুতে বাংলা প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে শর্মা বলেন, কলকাতা এখনও মেয়েদের জন্য সুরক্ষিত স্থান। রাজ্যের আমলাদের পক্ষ থেকে কন্যাশ্রী প্রকল্পের সাফল্যের বিষয়টি বৈঠকে তুলে ধরা হয়। যার ফলে বাল্যবিবাহ অনেক কমেছে বলে দাবি করেন রাজ্যের আমলারা।