করোনার কোপে ধাক্কা খেয়েছিল গোটা বিশ্বের অর্থনীতি। অতিমারির জেরে বিশ্বের বৃহত্তম অর্থনীতি আমেরিকার ক্ষেত্রেও দেখা দিয়েছিল রেকর্ড ধস। কিন্তু করোনা আবহেও নিজেদের অর্থনীতি সচল রাখতে সক্ষম হয়েছে চীন। ভারত ও চীনের অর্থনৈতিক পরিবর্তনের তুলনা টানলে দেখা যাচ্ছে আকাশ-পাতাল ফারাক। সেই ধারাই অব্যাহত থাকল চীনের চতুর্থ ত্রৈমাসিকেও। চতুর্থ বারে চীনের অর্থনীতি প্রসারিত হল ৬.৫ শতাংশ। যার জেরে এই অর্থবর্ষে সামগ্রিক অর্থনীতির বৃদ্ধি হল ২.৩ শতাংশ। যা দেখে এটা বোঝার কোনও উপায়ই নেই যে এই দেশটিই প্রথম করোনার ধাক্কা খেয়েছিল। আসলে করোনা আবহেই ব্যাপক রপ্তানির মাধ্যমে বাউন্স ব্যাক করেছে ড্রাগন। মাস্ক ও চিকিৎসা সংক্রান্ত সামগ্রীর রপ্তানির মাধ্যমে উর্ধ্বগামী হয়েছে গ্রাফ। পরিসংখ্যান বলছে, করোনাকালে মার্চ থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত বিদেশে ২২ হাজার ৪০০ কোটি মাস্ক রপ্তানি করেছে চীন।
অন্যদিকে, করোনার ফলে একাধিক ক্ষেত্রে উৎপাদন বন্ধ হয়েছিল ভারতে। লকডাউনের একেবারে মুখ থুবড়ে পড়ে রপ্তানি। শিল্প থেকে শুরু বিভিন্ন অসাংগঠনিক ক্ষেত্র, সব জায়গাতেই ঝুলেছিল তালা। যার জেরে সংকুচিত হয় দেশের অর্থনীতি। দ্বিতীয় ত্রৈমাসিকে ভারতের জিডিপি ছিল মাইনাস ৭.৫ শতাংশ। কিন্তু চীনের সম্প্রসারণ হয়েছিল ৩.২ শতাংশ। আবার তৃতীয় ত্রৈমাসিকেও ৪.৯ শতাংশ বেড়েছে চীনের অর্থনীতি। যেখানে ভারতের অর্থনীতি সম্প্রসারণের কোনও সম্ভাবনাই দেখছেন না বিশেষজ্ঞরা। বরং সামগ্রিক অর্থবর্ষে ভারতের অর্থনীতির বড় সঙ্কোচনের আভাস দিচ্ছেন তাঁরা। রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া ও ন্যাশনাল স্ট্যাটিস্টিকস অফিস বলছে ভারতের অর্থনীতি সংকুচিত হতে পারে যথাক্রমে ৭.৫ শতাংশ ও ৭.৭ শতাংশ। অন্যান্য বিশেষজ্ঞরা আরও বড় সংকোচনের আশঙ্কাও করছেন। অর্থনীতিবিদ অরুণকুমার পিটিআইকে জানিয়েছেন, ভারতের অর্থনীতি সংকুচিত হতে পারে ২৫ শতাংশ পর্যন্ত।