কেন্দ্রের নয়া কৃষি আইন নিয়ে এখনও আন্দোলনে অনড় কৃষকেরা। এবার এই আন্দোলনে নেতা ও সমর্থকদের তলব করছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। এই ঘটনায় বিজেপিকে কটাক্ষ করল তাদেরই পুরনো জোটসঙ্গী শিরোমণি অকালি দল। আলোচনার মাধ্যমে কৃষি আইন নিয়ে সমাধান বের করতে ব্যর্থ কেন্দ্রীয় সরকার, তাই এবার আন্দোলনকারীদের ভয় দেখানোর পথে হাঁটছে তারা। এমনই অভিযোগ জানিয়েছেন
অকালি দলের প্রধান সুখবীর সিংহ বাদল।
উল্লেখ্য, নিষিদ্ধ খালিস্তানি সংগঠন শিখ ফর জাস্টিসের সঙ্গে যোগাযোগ, আর্থিক লেনদেন সংক্রান্ত বিষয়ে জেরা করতে ৪০ জনকে ডেকেছে এনআইএ। এঁদের মধ্যে রয়েছেন পাঞ্জাবি অভিনেতা দীপ সিধু এবং কৃষক নেতা বলদেব সিংহ সিরসা। উল্লেখ্য, অভিনেতা দীপ সিধু কৃষক আন্দোলনের সমর্থক। তাই এনআইয়ের এই তলবের পিছনের রাজনৈতিক উদ্দেশ্য দেখছেন কেউ কেউ। এনআইএ-র এই পদক্ষেপের সমালোচনায় সরব বিজেপির প্রাক্তন জোটসঙ্গী শিরোমণি অকালি দল। টুইট করে সুখবীর সিংহ বাদল জানিয়েছেন, “কৃষক আন্দোলনের নেতা-সমর্থকদের তলব করছে এনআইএ। কৃষকদের ভয় দেখানোর চেষ্টা চলছে। বিজেপির এই পদক্ষেপের তীব্র নিন্দা করছি।” তিনি আরও বলেন, “কৃষকরা কেউ দেশবিরোধী হয়। ন’দফা আলোচনা চালিয়েও কৃষি আইন নিয়ে সম্স্যার জট খুলতে ব্যর্থ কেন্দ্রীয় সরকার। তাই এবার কৃষকদের ভয় দেখানোর চেষ্টা চলছে।”
একাধিক স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের মাধ্যমে ভারতে টাকা পাঠাচ্ছে খলিস্তানি সংগঠনগুলি বলে অভিযোগ। যার মূল উদ্দেশ্য, দেশজুড়ে খলিস্তানি আন্দোলনের বীজ বপন করা। এমনকী, খালসা এইড নামক এক স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন যাঁরা কৃষক আন্দোলনে সমর্থন করেছে। আন্দোলনকারীদের প্রয়োজনীয় সামগ্রী দিয়ে সাহায্য করছে। নিষিদ্ধ খলিস্তানি সংগঠন তাঁদের টাকার জোগান দিচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে। তাই তাঁদেরও জেরায় ডেকেছে এনআইএ। এ প্রসঙ্গে খালসা এইড সংগঠনের তরফে জানানো হয়েছে, “আন্দোলনের সমর্থকদের জেরা করতে ডেকেছে এনআইএ। তাঁদের সর্বতভাবে সাহায্য করা হবে।”
বিগত ১২ই ডিসেম্বর কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের তরফে এক বৈঠক ডাকা হয়েছিল। সেখানে হাজির ছিলেন এনআইএ, সিবিআই, আয়কর, ইডি ও এপসিআরএ-র আধিকারিকরা। সেই বৈঠকে খালিস্তানি আন্দোলনের মদতদাতা শিখ ফর জাস্টিস, বব্বর খালসা ইন্টারন্যাশনাল, খলিস্তান জিন্দাবাদ ফোর্স, খলিস্তানি টাইগার ফোর্সের অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড নিয়ে তদন্তের নির্দেশ দেয় অমিত শাহের মন্ত্রক। এরপর তদন্ত নেমেছে এনআইএ। এবার এসএফজে-র লেনদেন সংক্রান্ত তথ্য নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করতে ৪০ জনকে ডেকে পাঠাল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাটি।