নন্দীগ্রাম আন্দোলনে নিখোঁজ হয়েছিলেন অনেকে। এবার সেই মানুষগুলোর পরিবারের পাশে দাঁড়ালেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সোমবার নন্দীগ্রামের তেখালি বাজার মাঠ সভাস্থলে পৌঁছেই সভা শুরুর আগে ক্ষতিগ্রস্ত ১০টি পরিবারের হাতে তুলে দিলেন আর্থিক সাহায্য। এদিন নন্দীগ্রামে রওনা হওয়ার আগেই মুখ্যমন্ত্রী বলেছিলেন, ‘নন্দীগ্রামে আমি রোজই যাই। আমার মনে নন্দীগ্রাম সর্বদা থাকে।’
এদিন ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারদের হাতে আর্থিক সাহায্যে তুলে দেওয়ার আগে মমতা বলেন, ‘নন্দীগ্রাম আন্দোলন যখন হয়েছিল তখন প্রায় ১০ জন নিখোঁজ ছিলেন। ১৪ মার্চ অনেকে মারা গিয়েছিলেন। তা ছাড়া নভেম্বর মাসে সূর্যোদয়ের নাম করে ১০ জন মানুষ আজও ফিরে আসেনি। সেই মানুষগুলোর পরিবারের হাতে ৪ লক্ষ টাকা করে অনুদান দিচ্ছি। আজকের এই মঞ্চ সরকারি মঞ্চ। এই মঞ্চ থেকে ৪ লাখ টাকা করে সরকারি সাহায্যের চেক তুলে দেওয়া হচ্ছে সেই নিখোঁজদের পরিবারের হাতে।’
একইসঙ্গে এদিন মমতা ঘোষণা করেন যে শহীদ পরিবারকে মাসিক হাজার টাকা পেনশন দেবে সরকার। এদিন অরুণ দাস অধিকারী, বিশ্বজিৎ সিং, শুভঙ্কর মাইতি, প্রতিমা মাইতি, সুদেব মণ্ডল, সুমিত্রা মিদ্দা, বাপন মাইতি, রবি মণ্ডল, রাহুল করনের হাতে আর্থির অনুদানের চেক তুলে দিয়ে মুখ্যমন্ত্রী চলে যান মূল সভাস্থলে।
নন্দীগ্রাম আন্দোলনের মূল নেত্রী যে তিনিই, শহীদ পরিবারগুলিকে কাছে টেনে এদিন আরও একবার বুঝিয়ে দিলেন মমতা। সভামঞ্চে বক্তৃতা শুরু করেই বাম আমলের সময়কার রক্তাক্ত আন্দোলনের স্মৃতিচারণ করান মুখ্যমন্ত্রী। স্পষ্ট করে জানিয়ে দিলেন, ‘আমি কারও কাছে জ্ঞান নেব না, নন্দীগ্রাম আন্দোলন কে করেছে।’