২০১১-তে রাজ্যে রাজনৈতিক পালাবদলের অন্যতম মাইলস্টোন নন্দীগ্রাম। শুভেন্দুর দল বদলের পর আজ প্রথমবার সেই নন্দীগ্রামে সভা করছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সোমবার দুপুরে তেখালির মাঠে জনসভা করবেন তৃণমূল নেত্রী।
তৃণমূল সূত্রে খবর, নন্দীগ্রাম থেকেই পূর্ব মেদিনীপুরে ঘর গোছানোর কাজটা শুরু করে দিতে চান মমতা। উল্লেখ্য, আজ তৃণমূল নেত্রীর তেখালির সভায় থাকছেন না অধিকারী পরিবারের কেউই। শিশির-দিব্যেন্দুর ঘনিষ্ঠ মহলের দাবি দলের তরফ থেকে যোগাযোগ করা হয়নি। অন্যদিকে দলনেত্রীর সভায় আসার জন্য আলাদা করে আমন্ত্রণ জানানোর কী প্রয়োজন সেই প্রশ্ন তুলছে তৃণমূল। এই প্রসঙ্গে দলের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায় বলেন, ‘তাঁরা থাকবেন না তো আমার বলার কী আছে? হয়তো কারও হৃদয়ে ব্যথা, কারও পায়ে ব্যথা আছে। কী করে বলব, আসলে কোথায় ব্যথা।’
নন্দীগ্রামের মাটিতে দাঁড়িয়ে তৃণমূলনেত্রী কী বার্তা দেন, সেদিকে তাকিয়ে রাজনৈতিক মহল। সোমবার দুপুর একটায় সভা। কিন্তু ‘হাই-ভোল্টেজ’ এই সভার অন্য কারণও রয়েছে। সেটা হলো, তিন লক্ষ লোকের সমাবেশ করা। ইতিমধ্যে গোটা এলাকায় নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। সভাস্থলের কাছে কড়া নজরদারি চালাচ্ছে পুলিশ।
সভাস্থলে তৈরি হয়েছে তিনটি মঞ্চ। একটি মূল মঞ্চ। অন্য দু’টির একটিতে শহীদ পরিবার ও অন্যটিতে তৃণমূল নেতৃত্বের বসার ব্যবস্থা করা হয়েছে। গোটা রাস্তা সাজানো হয়েছে ঘাসফুলের পতাকা, ব্যানার ও নেত্রীর ছবি দিয়ে। জেলা তৃণমূল সভাপতি সৌমেন মহাপাত্র বলেন, ‘সভার প্রস্তুতির কাজ শেষ। ৩ লক্ষ মানুষের জমায়েতের লক্ষ্য স্থির করা হয়েছে। আমাদের আশা রেকর্ড ভিড় হবে।’