টানটান উত্তেজনাপূর্ণ ম্যাচের শেষ লগ্নে গোল করে কেরলের সাথে ড্র করল ইস্টবেঙ্গল। ম্যাচের অন্তিম মুহূর্তে কেরল ব্লাস্টার্সে জালে বল জড়ান স্কট নেভিল। অ্যান্টনি পিলকিংটন সুস্থ হয়ে ওঠায় কেরলের বিরুদ্ধে ম্যাচের আগে বিশেষজ্ঞেরা লাল-হলুদকেই এগিয়ে রেখেছিলেন। কিন্তু তাঁকে বাদ দিয়েই শুক্রবার প্রথম একাদশ গড়েছিলেন রবি ফাওলার। লাল-হলুদ সমর্থকেরা তা দেখে হতাশ হয়ে পড়লে কিছুটা স্বস্তি হয়তো পেয়েছিলেন কেরল কোচ কিবু ভিকুনা। ভেবেছিলেন, সহজেই জয় পাবেন তিনি।
শুক্রবার খেলা শুরু হওয়ার ছয় মিনিটের মধ্যেই এগিয়ে যাওয়ার সুযোগ পেয়েছিল কেরল। পেনাল্টি বক্সের মধ্যে থেকে নেওয়া জর্ডানের শট বাঁচান গোলরক্ষক দেবজিৎ মজুমদার। এসসি ইস্টবেঙ্গল প্রথম গোল করার সুযোগ পায় ১১ মিনিটে। কিন্তু হরমনপ্রীত সিংহের শট শরীর ছুড়ে বাঁচান কেরল গোলরক্ষক অ্যালবিনো গোমস। ৪৭ মিনিটে বল নিয়ে কেরলের বক্সে ঢুকে ব্রাইট পাস দিয়েছিলেন হরমনপ্রীতকে। কিন্তু তিনি বলের কাছে পৌঁছতেই পারেননি। কেরল অধিনায়ক জেসেল কার্নেরো বল বিপন্মুক্ত করতে গিয়ে প্রায় নিজের গোলেই ঢুকিয়ে দিচ্ছিলেন। দ্রুত ভুল শুধরে গোললাইন থেকে বল বাঁচান তিনি। ৫৫ মিনিটে হুপারের শট অল্পের জন্য লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়। নয় মিনিটের মধ্যেই কেরলকে এগিয়ে দেন জর্ডান। এদিন ব্রাইট এনোবাখারেকে শুরু থেকেই চক্রব্যূহে বন্দি করে রাখলেন কেরলের ফুটবলারেরা। জা মাগোমার সঙ্গে কেরলের অন্তত দু’জন ফুটবলার সর্বক্ষণ ছায়ার মতো লেগে থাকলেন। এখানেই শেষ নয়। জর্ডান মারে, গ্যারি হুপার ও আব্দুল সাহাল সামাদকে আক্রমণের ঝড় তোলার দায়িত্ব দেন কিবু। চোটের কারণে শেষ মুহূর্তে রাজু গায়কোয়াড় ছিটকে যাওয়ায় লাল-হলুদের রক্ষণ যে সমস্যায় পড়বে তা খুব ভালই জানতেন কেরল কোচ ভিকুনা।
উল্লেখ্য, কেরলের বিরুদ্ধে প্রথম পর্বের ম্যাচে রক্ষণের ভুলেই গোল খেয়েছিল লাল-হলুদ। শুক্রবারও তার ব্যতিক্রম হল না। ৬৪ মিনিটে কেরল গোলরক্ষক নিজেদের বক্স থেকে জর্ডানকে লক্ষ্য করে বল দেন। লাল-হলুদের ডিফেন্ডারেরা তখন জায়গায় ছিলেন না। কেরল স্ট্রাইকার নেভিল ও রানা ঘরামিকে গতিতে পরাস্ত করে পেনাল্টি বক্সে ঢুকে পড়েন। দেবজিৎ গোল ছেড়ে বেরোতে দেরি করায় বল জর্ডানের পায়ে লেগে গোলে ঢুকে যায়। এর পরেই মাঠি স্টেনম্যানকে তুলে পিলকিংটনকে নামান ফাওলার। গতি বাড়ে আক্রমণের। ম্যাচের একেবারে শেষ মুহূর্তে অবশেষে স্বস্তি ফেরে লাল-হলুদ শিবিরে। ব্রাইটের কর্নার থেকে উড়ে আসা বল দুরন্ত হেডে জালে জড়িয়ে দেন স্কট। সেই সঙ্গে টানা ছ’ম্যাচে অপরাজিত রাখলেন লাল-হলুদকে। তবে ড্রয়ের ফলে ১১ ম্যাচে ১১ পয়েন্ট নিয়ে লিগ টেবলে নবম স্থানেই থাকল ইস্টবেঙ্গল। সোমবার চেন্নাইয়িনের মুখোমুখি হবেন ফাওলাররা।