সেটা ১১ই ডিসেম্বর, ১৯৮৮। প্রায় ৩২ বছর আগের কথা। মুম্বইয়ের হয়ে রঞ্জি ট্রফিতে অভিষেক ঘটান শচীন তেন্ডুলকর। ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামে গুজরাতের বিরুদ্ধে সেই ম্যাচেই নিজের ক্রিকেটীয় জাত চেনান বিস্ময় বালক। শতরানে অপরাজিত থাকেন ‘মাস্টার ব্লাস্টার’। তবে, ‘গড অব ক্রিকেট’-এর রঞ্জি অভিষেক সুখের হলেও, তাঁর পুত্র অর্জুনের ঘরোয়া অভিষেক মোটেও সুখের হল না। হরিয়ানার কাছে ৮ উইকেটে হারল ৪১ বারের রঞ্জি চ্যাম্পিয়ন মুম্বই। একইসঙ্গে হারের হ্যাটট্রিক করে চলতি সৈয়দ মুস্তাক আলি প্রতিযোগিতা থেকে ছিটকে গেল তারা।
অভিষেকে অর্জুন, চৈতন্য বিষ্ণোই-কে ফিরিয়ে ৩৪ রানে ১ উইকেট নিলেও, ব্যাটিং ব্যর্থতার জন্যই ম্যাচ হারে মুম্বই। জয়ন্ত যাদব, অরুণ চাপরানা ও যুজবেন্দ্র চহালের দাপটে মাত্র ১৪৩ রানে গুটিয়ে যায় মুম্বইয়ের ইনিংস। এই রান তুলতে হরিয়ানাকে মোটেও বেগ পেতে হয়নি। মাত্র ২ উইকেটে ১৪৪ রান তুলে ম্যাচ লক্ষ্যে পৌঁছে যায় হরিয়ানা।
প্রসঙ্গত, কয়েকদিন আগে সৈয়দ মুস্তাক আলি ট্রফির জন্য ঘোষিত মুম্বই দলে জায়গা পেয়েছিলেন শচীন-পুত্র অর্জুন। প্রথম বারের মতো রাজ্য দলে সুযোগ পেয়েছিলেন তরুণ বাঁ-হাতি পেসার। এই প্রতিযোগিতার দল বাছাইয়ের আগে একটি প্রতিযোগিতা আয়োজন করে মুম্বই ক্রিকেট সংস্থা। যেখানে পারফর্ম করতে ব্যর্থ হন অর্জুন। যথারীতি প্রশ্ন ওঠে, এর পরেও কেন তাঁকে দলে নেওয়া হল ? সেই সময় মুম্বই ক্রিকেট সংস্থার এক প্রতিনিধি বলেছিলেন, ‘‘আগে ২০ জনের দল পাঠানোর নির্দেশ ছিল বোর্ডের। এখন সেই সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ২২। তাই দু’জন অতিরিক্ত পেসারকে দলে রাখা হয়েছিল।”