ফের বিতর্কে সাংবাদিক অর্ণব গোস্বামী। অভিযোগ উঠছে, রিপাবলিক টিভির সম্পাদক সরকারি বহু গোপন তথ্য অনেক আগে থেকেই জানতেন। এই তথ্যগুলির মধ্যে জাতীয় নিরাপত্তা সংক্রান্ত বহু বিষয় থেকে শুরু করে কেন্দ্র তথা প্রধানমন্ত্রীর দপ্তরের বেশ কিছু পদক্ষেপ উল্লেখযোগ্য। আসলে, সম্প্রতি বার্ক-এর প্রাক্তন সিইও পার্থ দাশগুপ্তর সঙ্গে রিপাবলিক টিভির অন্যতম কর্ণধারের হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাটের কিছু স্ক্রিনশট নেটদুনিয়ায় ভাইরাল হয়েছে। যাতে দেখা যাচ্ছে, প্রধানমন্ত্রীর দপ্তরের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ ছিল অর্ণবের। যোগাযোগ ছিল তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রকের সঙ্গেও।
সম্প্রতি টিআরপি কেলেঙ্কারিতে অর্ণব তথা বার্ক-এর প্রাক্তন সিইও পার্থ দাশগুপ্তর বিরুদ্ধে একটি অতিরিক্ত চার্জশিট পেশ করেছে মুম্বই পুলিশ। সূত্রের খবর, ৩৬০০ পাতার সেই সাপ্লিমেন্টারি চার্জশিটের প্রায় ৫০ পাতা জুড়ে রয়েছে এঁদের দুজনের হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাটের স্ন্যাপশট। আইনজীবী প্রশান্ত ভূষণ আবার সেই স্ক্রিনশটগুলি টুইটারে পোস্ট করেন। তারপরই বিতর্কের ঝড় ওঠে সোশ্যাল মিডিয়ায়। বার্ক-এর প্রাক্তন সিইও’র সঙ্গে অর্ণবের বেশ কিছু এমন কথোপকথন দেখা যায় যা কিনা চমকপ্রদ। ওই কথোপকথনে অর্ণব দাবি করছেন, প্রধানমন্ত্রীর দপ্তর (পিএমও), তথ্য সম্প্রচার মন্ত্রক, এনএসএ এবং অজ্ঞাত কোনও ‘এএস’ নামের এক ব্যক্তির সঙ্গে তাঁর এত ঘনিষ্ঠতা রয়েছে যে, সরকারি অনেক গোপন তথ্যই তিনি আগেভাগে জানতে পারেন।
এক জায়গায় তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী প্রকাশ জাভড়েকরকে ‘অপদার্থ’ বলে কটাক্ষও করতে দেখা গিয়েছে রিপাবলিক টিভির সম্পাদককে।তিনি বলেছেন, জাভড়েকরের জায়গায় স্মৃতি ইরানি থাকলে বেশি সুবিধা হত। নেটিজেনদের দাবি, অর্ণবের কথায় ইঙ্গিত মিলেছে তিনি পুলওয়ামা জঙ্গি হামলার কথাও আগে থেকে জানতেন। যা বিতর্ক আরও বাড়িয়েছে। ব্যবসায়িক সুবিধার জন্য প্রধানমন্ত্রীর দপ্তর এবং ‘এএস’ নামের ওই ব্যক্তির সঙ্গে ঘনিষ্ঠতার কথাও বলতে দেখা গিয়েছে রিপাবলিক টিভির সঞ্চালককে। বার্ক থেকে ব্যবসায়িক প্রতিযোগীদের তথ্য জোগাড় করা, অন্য চ্যানেলের বিরুদ্ধে ছক কষার প্রসঙ্গও রয়েছে প্রশান্ত ভূষণের ফাঁস করা ছবিগুলিতে। নেটিজেনদের দাবি, হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাটে অর্ণব যে যে তথ্য জানার দাবি করেছেন, তা যদি সত্যি হয়, তাহলে তাঁর জেলে থাকা উচিত। একই দাবি করেছেন প্রশান্ত ভূষণও।