কেন্দ্রের তিন কৃষি আইনের প্রতিবাদে আগামী ২৬ জানুয়ারি ‘কিসান ট্রাক্টর মার্চ’-এর ডাক দিয়েছেন অন্নদাতারা। জোর কদমে চলছে তার প্রস্তুতি। এই প্রতিবাদ-যাত্রা চলাকালীন যদি কোনও প্রতিরোধ আসে তা আটকাতেও সবরকমভাবে নিজেদের তৈরি রাখছেন কৃষকরা।
এদিকে সাধারণতন্ত্র দিবসের এই ট্রাক্টর মার্চ ঘিরে ইতিমধ্যেই বড় গোলমালের আশঙ্কা করছে ওয়াকিবহাল মহল। বিশেষ করে দিল্লী সীমান্ত ও হরিয়ানায় কৃষক-পুলিশ কোনও ঝামেলায় জড়িয়ে পড়তে পারে বলে আশঙ্কা তাদের। তবে কৃষকদের তরফে আশ্বাস দেওয়া হয়েছে, শান্তিপূর্ণভাবেই তাঁরা এই মার্চ করবেন।
গত ৫২ দিন ধরে দিল্লীতে আন্দোলন করছেন কৃষকরা। কেন্দ্রের কৃষি আইন প্রত্যাহারের দাবিতে পথে নেমেছেন কয়েক হাজার কৃষক। কেন্দ্রকে নয়া তিন কৃষি আইন প্রত্যাহার করতেই হবে, অনড় আন্দোলনকারীরা। সাধারণতন্ত্র দিবসের এই ট্রাক্টর মার্চ সেই আন্দোলনেরই অংশ।
ট্রাক্টরগুলিতে ভারি লোহার রড এবং লোহার বড় বড় প্লেট লাগানো হচ্ছে। পাথর এবং অন্যান্য প্রতিরোধ দূর করার জন্য মার্চের প্রথম সারিতে বেশি হর্স পাওয়ারের ট্রাক্টর থাকবে। এর জন্য পাঞ্জাবের জলন্ধর, লুধিয়ানা এবং অন্যান্য বেশ কয়েকটি জেলায় ৫৫ হর্স পাওয়ারের ট্রাক্টরকে ১২০ থেকে ১৮০ হর্স পাওয়ারে পরিবর্তিত করা হচ্ছে।
কোনওরকম প্রতিরোধ এলে তা মোকাবিলায় এই সব ট্রাক্টরে বড় দু’টি চাকার জায়গায় চারটি চাকা বসানো হচ্ছে। শুধু তাই নয়, এই প্রথম সারির ট্রাক্টরগুলিতে বৃদ্ধ, মহিলা এবং বাচ্চাদের বসার জন্য বিশেষ লোহার খাঁচা তৈরি করা হচ্ছে। পুলিস কোনওরকম শক্তি প্রয়োগের চেষ্টা করলে মহিলা বা বাচ্চারা যেন কোনওভাবেই সমস্যায় না পড়েন।