দলের সঙ্গে তাঁর দীর্ঘদিনের সম্পর্ক। তৃণমূল যখন রাজ্যের বিরোধী দল, তখন থেকে তিনি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের একনিষ্ঠ সৈনিক। তাই অভিমান হলেও তা আর দীর্ঘস্থায়ী হল না। দুই ব্যক্তির সঙ্গে সাক্ষাৎ আর অল্পবিস্তর আলোচনাতেই অভিমান গলে একেবারে জল। গতকাল ‘বেসুরো’ তারকা সাংসদ শতাব্দী রায়কে নিয়ে একদিনের মধ্যেই যাবতীয় জল্পনার অবসান ঘটিয়ে ফেলল তৃণমূল।
শুক্রবার সন্ধ্যাবেলা অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের অফিসে গিয়ে তাঁর সঙ্গে কথাবার্তা বলার পর আবার অন্য সুর শোনা গেল সাংসদের গলায়। এদিন প্রায় আধঘণ্টা আলোচনার পর বেরিয়ে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে তিনি বললেন, ”আমার যা অভিযোগ, সমস্যা ছিল, তার সবটা অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে জানিয়েছি। উনি সবটা দেখবেন বলে আশ্বাস দিয়েছেন।” এরপরই আগামীকাল দিল্লী সফর বাতিল করলেন শতাব্দী।
শুক্রবার সন্ধ্যা তখন সাড়ে ৬টা পেরিয়েছে। দলের যুব সভাপতি তথা শীর্ষ নেতৃত্বের অন্যতম অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের ক্যামাক স্ট্রিটের অফিসের সামনে দেখা গিয়েছিল শতাব্দী রায়, কুণাল ঘোষকে। বোঝা যায়, শতাব্দী-অভিষেকের সাক্ষাৎ করানোর অন্যতম কাণ্ডারি কুণাল ঘোষই। সেখানেই প্রায় আধঘণ্টা তিনজনের মধ্যে আলাপ-আলোচনা হয়।
সেখান থেকে বেরিয়ে সাংবাদিকদের শতাব্দী রায় জানান যে সাংসদ হিসেবে কাজের ক্ষেত্রে তিনি যে যে সমস্যার মুখে পড়েছিলেন, তা বিস্তারিত জানিয়েছেন দলের অন্যতম শীর্ষ নেতা অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে। পাশাপাশি শনিবার দিল্লী যাওয়ার নির্ধারিত কর্মসূচি বাতিলের কথাও বলেন তিনি। সূত্রের খবর, শতাব্দীকে শনিবার দিল্লীতে দেখা করার জন্য ডেকে পাঠিয়েছিলেন মুকুল রায়। আজ অভিষেকের সঙ্গে সাক্ষাতের পরই সেই সিদ্ধান্ত বদল করলেন শতাব্দী।