শোভন চট্টোপাধ্যায় মন বিজেপি নেতারা বুঝতে পারলেও, বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়ের মন বোঝা দায়। কখন যে তিনি কোন বিষয়ে আপত্তি করে বসেন, তা ভেবেই পা ফেলতে হচ্ছে দলের শীর্ষ নেতাদের। তাঁর নতুন আপত্তিতে শোরগোল পড়ে গিয়েছে বিজেপির অন্দরমহলে।
মুরলিধর সেন লেনে বিজেপির পার্টি অফিসে শোভন চট্টোপাধ্যায় এবং বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়ের ঘরের বাইরে নাম লেখা নিয়ে বিতর্ক তৈরি হয়েছে। নেমপ্লেটে লেখা হয়েছে, শ্রী শোভন চট্টোপাধ্যায়, শ্রী দেবজিৎ সরকার, শ্রীমতি বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায় এবং শ্রী শঙ্কুদেব পণ্ডা। সূত্রের খবর অনুযায়ী, নিজের নামের আগে শ্রীমতি শব্দবন্ধ বসানো নিয়ে আপত্তি বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়ের। কার অনুমতি নিয়ে লেখা হয়েছে, তা নিয়েও তিনি প্রশ্ন করেছেন বলে জানা গিয়েছে।
তবে বর্তমানে আগের থেকে সতর্ক বিজেপি নেতারা। ১৩ জানুয়ারি তাঁর বিজেপি অফিসে যাওয়ার বিবৃতিতে নামের আগে শ্রীমতি লেখা হয়নি। তবে সেখানে ডক্টর বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায় লেখা হয়েছিল। তবে বিজেপি নেতারা অকপটে স্বীকার করছেন, এবার থেকে বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়ের পরিচয় ব্যবহারের আগে তাঁরা সতর্কতা অবলম্বন করবেন। দরকারে তাঁর মত নেওয়ার পক্ষেও মত দিয়েছেন বিজেপি নেতারা।
উল্লেখ্য, গতবছরের ২৭ ডিসেম্বর শোভন চট্টোপাধ্যায় এবং বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়দের সাংগঠনিক পদ দেয় রাজ্য বিজেপি। শোভন চট্টোপাধ্যায়কে কলকাতার পর্যবেক্ষক এবং বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়কে কো-কনভেনর করা হয়। যুব মোর্চার পূর্বতন সভাপতি দেবজিৎ সরকারকে কনভেনর এবং শঙ্কুদেব পণ্ডাকে অপর কো-কনভেনর করা হয়। একইসঙ্গে মুরলিধর সেন লেনের পার্টি অফিসে মুকুল রায়ের ছেড়ে দেওয়া ঘর তাঁদের জন্য বরাদ্দ করা হয়। কিন্তু ৪ জানুয়ারি রোড শো-এ অংশ না নেওয়ায় দলীয় অফিস থেকে শোভন চট্টোপাধ্যায় এবং বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেমপ্লেট সরিয়ে দেওয়া হয়েছিল। সূত্রের খবর অনুযায়ী, গোলপার্ক থেকে রোড শো-এ অংশ নেওয়ার কথা ঘোষণা করার পরেই তা অবশ্য আবারও বসিয়ে দেওয়া হয়। রোড শো-এ অনুপস্থিতির কারণ হিসেবে বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায় শারীরিক অসুস্থতার কথা জানানোয় মেনেও নেন বিজেপি নেতারা। একেবারে বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়ের কথার সঙ্গে তাল মিলিয়েই।