ভোট-বাজারে প্রচারের ঢক্কা-নিনাদ সত্ত্বেও, সরকারি পেনশন প্রকল্পের সুবিধা পৌঁছয় দারিদ্রসীমার নীচে থাকা মাত্র৩৩ শতাংশ প্রবীণের কাছে। এই তথ্য উঠে এসেছে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রকের নিয়ন্ত্রণাধীন দুই সংস্থা, হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের টি এইচ চ্যান স্কুল অব পাবলিক হেল্থ এবং সাদার্ন ক্যালিফোর্নিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের যৌথ সমীক্ষায়।
সমীক্ষায় দেখা গেছে, ১৯৯৫ সালে চালু হওয়া ইন্দিরা গাঁধী জাতীয় পেনশন প্রকল্পের সুবিধা পেয়েছেন দারিদ্রসীমার নীচে থাকা মাত্র ৩০% মানুষ। অথচ সময়ে ওই প্রকল্পের আওতায় নাম লেখালে, তাঁদের মাসে ৬০০ থেকে ১০০০ টাকা পেনশন পাওয়ার কথা। শুধু তা-ই নয়। ওই প্রকল্পের কথা শুনেছেন ষাট পেরনো দরিদ্র প্রবীণদের মোটে ৫৫%। অর্থাৎ, বাকি ৪৫% সে কথা জানেনই না! সারা দেশে ষাট পেরনোদের মধ্যে সব মিলিয়ে পেনশন প্রাপক মাত্র ৬%।
একই ছবি কেন্দ্রীয় অন্নপূর্ণা যোজনায়। এই প্রকল্পে দারিদ্রসীমার নীচে থাকা ৬৫ পেরনো প্রবীণদের পাওয়ার কথা খাদ্যশস্য। কিন্তু শহর ও গ্রামে এই সামান্য সুবিধাটুকুও ঘরে তোলেন যথাক্রমে ২.৫% এবং ১.৫% জন। হবে না কেন? এমন প্রকল্প যে আদৌ রয়েছে, সে কথা জানেন দেশের ১৩ শতাংশেরও কম দরিদ্র প্রবীণ।
পরিসংখ্যানে স্পষ্ট যে, একে ভারতে সামাজিক সুরক্ষার সরকারি প্রকল্প সংখ্যায় বাড়ন্ত। তার উপরে সেই সুবিধাটুকুর খবরও সাধারণ মানুষের কাছে ঠিক মতো পৌঁছয় না। তাই অনেকে হয় প্রকল্পের নামই শোনেননি, নয়তো আবছা জানার কারণে আর পা বাড়াননি সেখানে নিজের নাম নথিভুক্তিতে। ফলে অধরা থেকে গিয়েছে প্রাপ্য সুবিধা। একের পর এক সরকারি প্রকল্পে।