সিঙ্গুরে শীঘ্রই শিল্পায়ন হবে- রাজ্যবাসীকে এমনই আশ্বাস দিয়েছিলেন খোদ বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তারপর জমি বণ্টনের জন্য আগ্রহপত্রও আহ্বান করে রাজ্য। আর তাতেই একপ্রকার বাজিমাত! সূত্রের খবর, এখনও পর্যন্ত প্রায় ১০০টি সংস্থা আগ্রহ দেখিয়েছে সিঙ্গুরে শিল্প গড়ার জন্য। সেই তালিকায় রয়েছে একটি জাপানি সংস্থা নামও। তবে শিল্প গড়ার জন্য জমির দাম এখনও চূড়ান্ত হয়নি। জানা গিয়েছে, সরকারি কর্তারা কাঠা পিছু পাঁচ থেকে সাড়ে ছ’লাখ টাকা দাম রাখার প্রস্তাব দিয়েছেন। রাজ্যের অর্থদফতর এই বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে।
সিঙ্গুরে শিল্প গড়ার জন্য সওয়াল করেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজেই। জানা গেছে, রতনপুরের একটি জমিতে কৃষিভিত্তিক শিল্প গড়ার তোড়জোড় শুরু হয়েছে রাজ্য সরকারের তরফে। জমিটি এখন রয়েছে রাজ্যের ক্ষুদ্র শিল্প উন্নয়ন নিগমের হাতে। তারাই সেখানে পরিকাঠামো গড়ে দেবে শিল্পের জন্য। প্রায় ১০.৭ একর জমিতে প্লট করে শিল্প গড়ার জন্য অনুমতি দেবে নবান্ন। এই ব্যাপারে গত ২৮ ডিসেম্বর আগ্রহপত্র আহ্বান করা হয়।
নিগমের চেয়ারম্যান বিপ্লব রায়চৌধুরী বলেন, আমরা সিঙ্গুরের জমিতে শিল্প গড়ার বিষয়ে অভূতপূর্ব সাড়া পেয়েছি। ইতিমধ্যেই প্রায় ১০০টি সংস্থা আমাদের কাছে জমি নিতে চেয়েছে। প্রস্তাব এসেছে কৃষিভিত্তিক হরেক শিল্পের। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যে স্বপ্ন দেখছেন সিঙ্গুরকে ঘিরে, আমরা তা সফল করতে পারব বলেই আশা রাখছি। যে জমিটি আমরা হাতে পেয়েছি, তার অবস্থান ও যোগাযোগ ব্যবস্থাও বেশ ভালো। অমি শীঘ্রই জমিটি দেখতে সিঙ্গুরে যাব এবং কীভাবে পরিকাঠামো গড়া যায়, সেই বিষয়েও আলোচনা করব।
উল্লেখ্য, আগামী ১৫ জানুয়ারি পর্যন্ত সিঙ্গুরের জমির জন্য আগ্রহপত্র জমা দিতে পারবে শিল্প সংস্থাগুলি। কিন্তু তার আগে আগ্রহী সংস্থাগুলির সঙ্গে আলোচনায় বসতে চেয়েছিল রাজ্য। গত বৃহস্পতিবার শিল্পসদনে এই সংক্রান্ত একটি অলোচনাসভাও হয়। সূত্রের খবর, সেখানেই প্রাথমিকভাবে জানিয়ে দেওয়া হয়, জমির দাম কাঠা পিছু পাঁচ থেকে সাড়ে ছ’লাখ টাকার মধ্যে রাখা হবে। কিন্তু তা এখনই চূড়ান্ত নয়। এই বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবে রাজ্যের অর্থদফতর।