মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব দেব নিজে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে কথা বলেছেন। অপহৃতদের উদ্ধারে বাংলাদেশ সরকারের সদর্থক ভূমিকার কথা বলতে গিয়ে সম্প্রতি এমনটাই জানিয়েছিলেন ত্রিপুরা পুলিশের ডিজিপি ভি এস যাদব। একটি অঙ্গরাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী হয়ে কীভাবে তিনি প্রতিবেশী দেশের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলতে পারেন, তা-ও সন্ত্রাসবাদের মতো প্রসঙ্গে, এবার এমনই প্রশ্ন তুলল বিরোধীরা। তাদের মতে, এই কাজ যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামোর রীতিনীতির বিরোধী।
ত্রিপুরা সরকারের একটি সূত্রে দাবি করা হয়েছে, শেখ হাসিনার সঙ্গে সুসম্পর্ক রয়েছে মুখ্যমন্ত্রীর। তাঁর কাছে সহযোগিতা চাওয়ার বিষয়টি তিনি কেন্দ্রকেও জানিয়েছেন। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ এবং প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিংহের সঙ্গে কথা হয়েছে বিপ্লব দেবের। রাজ্য সরকারের তরফে অবশ্য এ বিষয়ে কোনও বিবৃতি দেওয়া হয়নি এখনও। এদিকে প্রাক্তন পূর্তমন্ত্রী ও বাদল চৌধুরীর অভিযোগ, মুখ্যমন্ত্রী যুক্তরাষ্ট্রীয় পরিকাঠামোর নিয়মকানুন জানেন না। তাঁর বক্তব্য, ‘আমাদের সময়েও মুখ্যমন্ত্রী বিদেশ মন্ত্রককে জানিয়ে চিঠি লিখেছিলেন। সরাসরি কোনও সময়েই যোগাযোগ করেননি।’
উল্লেখ্য, কিছুদিন আগে ত্রিপুরার ধলাই জেলায় ভারত-বাংলাদেশের সীমান্তের বেড়া নির্মাণে যুক্ত তিনজন শ্রমিককে অপহরণ করেছিল জঙ্গীরা। গত ২৪ ডিসেম্বর পুলিশ সদর দফতরে এসে ডিজিপি যাদবের কাছে চার সশস্ত্র এনএলএফটি(বিএম) জঙ্গী আত্মসমর্পণ করে। তার পরে সাংবাদিকদের ডিজিপি জানান, অপহৃতদের ফিরিয়ে আনার জন্য মুখ্যমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাহায্য চেয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। এপারে পুলিশ-বিএসএফের পাশাপাশি বাংলাদেশও সমান তৎপর হওয়ায় অক্ষত ফিরতে পেরেছেন অপহৃতরা।