একুশের বিধানসভা ভোটের আগে ফের শক্তি বৃদ্ধি হল রাজ্যের শাসক দলের। এবার তৃণমূলে যোগ দিলেন তরাই ও ডুয়ার্স অঞ্চলের ‘টাইগার’ বলে পরিচিত নেতা রাজেশ লাকড়া। সোমবার কলকাতায় তৃণমূল কংগ্রেস ভবনে রাজ্যের মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী জননেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আদিবাসী সমাজ ও চা শ্রমিকদের জন্য উন্নয়নের অসামান্য অবদানকে সম্মান জানিয়ে তৃণমূল কংগ্রেসে যোগদান করলেন ভারতীয় মূলনিবাসী আদিবাসী বিকাশ পরিষদের কেন্দ্রীয় সভাপতি লাকড়া। তাঁর হাতে দলীয় পতাকা তুলে দিয়েছেন তৃণমূলের বর্ষীয়ান নেতা তথা রাজ্যের শ্রম ও আইন মন্ত্রী মলয় ঘটক ও তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্য সম্পাদক তথা রাজ্যসভার প্রাক্তন সাংসদ ঋতব্রত বন্দ্যোপাধ্যায়। তৃণমূলের দাবি, চা বাগান শ্রমিকদের মধ্যে এতে তৃণমূলের সংগঠন আরও শক্তিশালী হবে। মুখ্যমন্ত্রী যে ভাবে চা বাগান শ্রমিকদের উন্নয়ন করেছেন তা দেখেই তৃণমূলে যোগ দিলেন মমতায় মুগ্ধ লাকড়া।
তরাই ডুয়ার্স অঞ্চলের নেতা লাকড়ার দাবি, আগে চা বাগানের শ্রমিকরা ৬৭ টাকা করে পেতেন। মুখ্যমন্ত্রীর উদ্যোগে এখন তা পৌঁছেছে ১৭৬ টাকায়। চা সুন্দরী প্রকল্পে রাজ্য সরকার শ্রমিকদের নিজস্ব বাড়ি তৈরি করে দিয়েছে। তিনি আরও বলেন, চা বাগান শ্রমিক ও আদিবাসী আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত আমি। মুখ্যমন্ত্রীকে শ্রদ্ধা জানাই। ইতিহাসে আর কেউ আদিবাসী ও চা শ্রমিকদের এমন উন্নতি করতে পারেনি। আমাদের দাবি মেনে, ১৫ নভেম্বর বিরসা মুন্ডার জন্মবার্ষিকীতে ছুটি দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। পারিশ্রমিক বৃদ্ধি হয়েছে চা শ্রমিকদের। বাম আমলে এক টাকা দু’টাকা বাড়ত। আমি এই কারণে মমতার ডাকে সাড়া দিয়ে আদিবাসীদের উন্নয়নের জন্য যোগ দিলাম। উল্লেখ্য, এককালে এসএফআই এবং সিটু-র সঙ্গে যুক্ত থাকলেও ২০০৬ সালে আদিবাসী বিকাশ পরিষদের অন্যতম মুখ হয়ে ওঠেন লাকড়া। চলতি বছরই আদিবাসী বিকাশ পরিষদ ছেড়ে ভারতীয় মূলনিবাসী আদিবাসী বিকাশ পরিষদ গড়েছেন তিনি। ভোটের আগে তাঁর যোগদানে যে তরাই-ডুয়ার্সে বাড়তি অক্সিজেন পেল তৃণমূল, তা বলাই বাহুল্য।