আগামী বছর বিধানসভা নির্বাচন। বাংলা দখলই লক্ষ্য বিজেপির। নাগরিকত্ব ইস্যুতে শান দিয়ে ভোটবাক্স শক্তিশালী করার চেষ্টা করছে গেরুয়া শিবির। ‘আর নয় অন্যায়’ কর্মসূচিতে ইতিমধ্যেই কৈলাস বিজয়বর্গীয় ঘোষণা করেছিলেন, জানুয়ারি থেকেই নাগরিকত্ব দেওয়ার কাজ শুরু হবে। বনগাঁর গোপালনগরের সভা থেকে তার পাল্টা জবাব দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মতুয়ারা সকলেই নাগরিক বলে ঘোষণা করলেন তিনি।
এদিন সিএএ ইস্যুতে কেন্দ্রের বিরুদ্ধে সুর চড়ান মুখ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘ক্যা ক্যা বলে প্রতারণা করা হচ্ছে। এদের একবার সুযোগ দিলেই ঠাকুমার বাবা, ঠাকুরদাদার জন্ম তারিখ চাইবে। দিতে পারবেন? রাজ্য সরকার আপনাদের নাগরিক বলে দিয়েছে। রাজ্য সরকার উদ্বাস্তু কলোনিগুলিকে স্বীকৃতি দিয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে দাঁড়িয়ে বলছি মতুয়ারা সকলে নাগরিক। আপনাদের কোনও প্রমাণপত্রের প্রয়োজন নেই। এনআরসি, এনপিআর করতে দেব না।’ মতুয়াদের উন্নয়নের স্বার্থেও রাজ্য সরকার অনেক উন্নয়নমূলক কাজ করছে বলেও জানান তিনি। উল্লেখ্য, এর আগেই ১০ কোটি টাকা মতুয়াদের উন্নয়নের স্বার্থে দেওয়া হয়েছে। তিনি বলেন, ‘আপনারা কমিটি তৈরি করলেই কাজ শুরু হবে।’ বনগাঁ তাঁর পুরনো জায়গা বলেও জানিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ৩০ বছর ধরে বড়মার চিকিৎসা করিয়েছেন বলেও জানান মুখ্যমন্ত্রী।
বহিরাগত ইস্যুতেও আরও একবার সুর চড়ান মুখ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘আমরা কথা দিলে কথা রাখি। আমরা বিজেপি পার্টি নয় যে ভোটের সময় কথা দিয়ে পালিয়ে যাব।’ ফের বিজেপিকে বহিরাগত বলে তোপ দাগেন তিনি। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘বাইরে থেকে আরএসএস নিয়ে এসেছে। তারা মতুয়াদের ধর্ম সম্পর্কে শেখাচ্ছে। হিন্দু ধর্ম কী তা স্বামী বিবেকানন্দের থেকে শিখব। তোমরা কোন হরিদাস? পাড়ায় পাড়ায় বহিরাগত দেখলে এফআইআর করবেন। না নিলে আমাদের কার্যালয়ে জানাবেন।’