অস্ট্রেলিয়ার কাছে ওয়ান ডে সিরিজে হারের জন্য বোলারদের ব্যর্থতাকেই দায়ী করলেন অধিনায়ক বিরাট কোহলি। তবে তিনি এটাও জানিয়েছেন যে, সিডনি ক্রিকেট গ্রাউন্ডের উইকেট বড় বেশি ব্যাটিং সহায়ক ছিল। তাই বোলারদের কাজটা আরও কঠিন হয়ে গিয়েছে।
ম্যাচের সেরা নির্বাচিত হয়েছেন স্টিভ স্মিথ। পর পর দুই ম্যাচে সেঞ্চুরি করে শ্রেষ্ঠত্বের দ্বৈরথে বিরাট কোহলিকে অনেকটাই পিছনে ফেলে দিয়েছেন তিনি। ফুরফুরে মেজাজে স্মিথ বলেন, ‘ভারতীয় দলের ব্যাটিং লাইন-আপ খুবই ভালো। সেই জন্য ওদের সামনে বড় রানের টার্গেট রাখা খুব জরুরি ছিল। সেই লক্ষ্য নিয়েই আমরা ব্যাট করতে নেমেছিলাম। ওয়ার্নার ও ফিনচ খুব ভালো শুরু করার ফলে বাকি ব্যাটসম্যানদের কাজ অনেকটাই সহজ হয়ে যায়।’
গত কয়েক বছরে ভারতীয় ক্রিকেটকে সাফল্যের শিখরে তুলে আনার ক্ষেত্রে প্রধান ভূমিকা পালন করেছেন বোলাররাই। কিন্তু চলতি অস্ট্রেলিয়া সফরে রাতারাতি বদলে গিয়েছে ছবিটা। যশপ্রীত বুমরাহ, মহম্মদ সামি, যুজবেন্দ্র চাহালদের বিরুদ্ধে নির্দয় মনোভাব দেখিয়ে রানের পাহাড় গড়েছেন অজি ব্যাটসম্যানরা। ভারতীয় বোলিংকে তুলোধনা করে প্রথম একদিনের ম্যাচে অস্ট্রেলিয়া তুলেছিল ৩৭৪ রান। আর রবিবার দ্বিতীয় ম্যাচে সেই স্কোরকেও ছাপিয়ে গেলেন স্টিভ স্মিথরা। ৩৮৯ রান করে ভারতের বিরুদ্ধে ওয়ান ডে’তে সর্বাধিক রানের রেকর্ডও গড়লেন অজিরা। পর পর দুই ম্যাচে হেরে অত্যন্ত হতাশ বিরাট কোহলি। বিমর্ষ ভারত অধিনায়ক ব্যর্থতার জন্য সরাসরি আঙুল তুলেন নিজের বোলারদের বিরুদ্ধে। তিনি বলেন, ‘আমাদের বোলাররা কোনও রকম প্রভাবই ফেলতে পারেনি। আর সেই কারণেই স্মিথ, ওয়ার্নার, ফিনচ অবলীলায় রান করে গিয়েছে। ম্যাচের আগে যে পরিকল্পনা আমরা গ্রহণ করেছিলাম, তার বিন্দুমাত্র প্রয়োগ ঘটাতে পারেনি বোলাররা। এমনকী লাইন-লেংথ বজায় রাখার ক্ষেত্রেও ধারাবাহিকতার অভাব দেখা গিয়েছে বুমরাহ, সামি, সাইনিদের মধ্যে। অস্ট্রেলিয়ার বোলাররা কিন্তু এই ক্ষেত্রে সফল। কামিন্স, স্টার্ক, হ্যাজলউডরা শৃঙ্খলা বজায় রেখে আমাদের ব্যাটসম্যানদের কাজ কঠিন করে দিয়েছে। তবে আমার বিশ্বাস, এই ভুল থেকে শিক্ষা নিয়ে সিরিজের শেষ ম্যাচে ঘুরে দাঁড়াবে আমাদের বোলাররা।