ভাস্কোর তিলক ময়দানে শুক্রবার সন্ধ্যায় এটিকে-মোহনবাগানের বিরুদ্ধে নামার ২৪ ঘণ্টা আগে প্রবল বিনয়ী শোনায় একদা লিভারপুলে খেলে আসা বর্তমান এসসি ইস্টবেঙ্গল কোচ রবি ফাওলারের গলা। প্রয়াত প্রদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় বনাম অমল দত্ত, সুভাষ ভৌৈমিক বনাম সুব্রত ভট্টাচার্যদের সেই একে অপরকে টেক্কা দেওয়া বাগ্যুদ্ধের বদলে ফাওলার শান্ত গলায় বলে দেন, ‘‘বিপক্ষ তো গত বারের চ্যাম্পিয়ন। ওদের দলটাও দারুণ। রয় কৃষ্ণ, ডেভিড উইলিয়ামসদের ‘এ’ লিগে খেলার সুবাদে চিনি। সেখানে আমরা তো নতুন দল।’’ যোগ করেন, ‘‘ডার্বিতে আমরা কিছুটা হলেও পিছিয়ে। তবে ফুটবলে পিছিয়ে শুরু করা দলও ৯০ মিনিটে ম্যাচ বার করে নিয়ে যায়। এটিকে-মোহনবাগানের বিরুদ্ধে সেই প্রচেষ্টাই জারি থাকবে।
অন্যদিকে রাতে অনুশীলনের সময় ফ্রি-কিক, কর্নারে জোর দিয়েছেন হাবাস। দলে বেশি পরিবর্তনেও নারাজ হাবাস। এ দিন ইস্টবেঙ্গল অনুশীলনে দেড় ঘণ্টা বিপক্ষ মাঝমাঠ থেকে উড়ে আসা বল কী ভাবে নিষ্ক্রিয় করা যায়, তার জোরদার মহড়া হয়েছে মাগোমা, ড্যানি ফক্সদের নিয়ে। দুই শিবিরের বিপুল সংখ্যক সমর্থকদের বাদ দিয়ে বড় ম্যাচ? প্রশ্ন করা হলে ফাওলার বলেন, ‘‘কী করা যাবে? গোটা বিশ্বেই তো এ ভাবে খেলা হচ্ছে। ছেলেরা ইস্টবেঙ্গল প্রতীকের সম্মান রাখার চেষ্টাই করবে।’’ হাবাস আবার সমর্থকদের দিলখুশ করতে মরিয়া। বলছেন, ‘‘বিপক্ষ সম্পর্কে তথ্য রয়েছে। সমর্থকেদের খুশি রাখতে ম্যাচটা জিতে ফেরার চেষ্টা করব।’’
এটিকে-মোহনবাগানের স্পেনীয় কোচ আন্তোনিয়ো লোপেস হাবাসও ভারতীয় ক্লাব ফুটবলের এই মহারণের আগে সতর্ক। তাঁর কথায়, ‘‘সব প্রতিপক্ষকেই শ্রদ্ধা করি। এসসি ইস্টবেঙ্গলকেও। ওদের দলে ভাল বিদেশি রয়েছে। চাপ তো সব দলেই থাকবে। তবে তা ৯০ মিনিটের জন্যই।’’ যদিও কলকাতার দুই প্রধানের দুই কোচেরই এই মন্তব্য সাংবাদিক সম্মেলনে। ভিতরে ভিতরে দুই কোচই তৈরি হচ্ছেন ভারতীয় ফুটবলের ‘এল ক্লাসিকো’ থেকে জয় ছিনিয়ে নেওয়ার জন্য।