একদিনের সিরিজ দিয়ে শুরু হবে ভারতীয় দলের অস্ট্রেলিয়া সফর। প্রথম ম্যাচ ২৭ নভেম্বর। তিনটি ওয়ান ডে ছাড়াও কোহলিরা খেলবেন তিনটি টি-২০ ম্যাচও। তারপর দুই দল মুখোমুখি হবে টেস্ট সিরিজে। গতবার বিরাটের নেতৃত্বে ভারত ২-১ ব্যবধানে টেস্ট সিরিজ জিতে ইতিহাস গড়েছিল টিম ইন্ডিয়া। দুর্দান্ত পারফর্ম করেছিলেন ভারতীয় বোলাররা। বিশেষ করে পেসারদের প্রশংসা করতেই হবে। তাই বিরাট কোহলিই যে তাঁদের প্রধান টার্গেট, তা স্পষ্ট করে দিলেন প্যাট কামিন্স। অস্ট্রেলিয়ার তারকা পেসারটি বলেছেন, তিন ফরম্যাটেই ভারতের বিরুদ্ধে সাফল্য পেতে গেলে কোহলিকে বড় রান থেকে বিরত রাখতেই হবে। আর সেটাই আমাদের কাছে সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ।
টেস্ট ম্যাচ জেতার জন্য দরকার বিপক্ষের ২০টি উইকেট। তাই লাল বলের ক্রিকেটে ব্যাটসম্যানদের পাশাপাশি বোলারদের ভূমিকাও হয়ে ওঠে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। ভারতের পেস ব্যাটারি বিগত কয়েক বছর ধরে দেশ-বিদেশে দাপিয়ে বেড়াচ্ছে। প্রশ্নাতীতভাবে এই মুহূর্তে দেশের সেরা পেস আক্রমণ রয়েছে বিরাটের হাতে। তবে পিছিয়ে নেই অস্ট্রেলিয়া। সহ-অধিনায়ক প্যাট কামিন্স, মিচেল স্টার্ক, হ্যাজলউডরা অবশ্যই ঘরের মাঠে গতির বিস্ফোরণ ঘটাতে চাইবেন। বাউন্স হবে তাঁদের বড় অস্ত্র। তাই দুই দলের পেসাররাই ভারত-অস্ট্রেলিয়া সিরিজের ভাগ্য ঠিক করে দেবে। এমনটাই মনে করছেন প্রাক্তন পেসার জাহির খান। তিনি বলেছেন, ‘অস্ট্রেলিয়ার পিচে পেস ও বাউন্স দুটোই থাকে। তবে এখন উইকেট অপেক্ষাকৃত ব্যাটসম্যান সহায়ক। তা সত্ত্বেও ওয়ান ডে, টি-২০ এমনকী টেস্ট সিরিজে সাফল্যের চাবিকাঠি থাকবে পেসারদের হাতেই।’
প্রত্যাঘাত হানার পরিকল্পনা করেছে অস্ট্রেলিয়াও। সেক্ষেত্রে ক্যাঙারু বাহিনীর পথের কাঁটা কোহলিই। কারণ, গতবার অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে দারুণ ছন্দে ছিলেন ভিকে। বরাবরই তিনি ডনের দেশে সাফল্য পেয়ে এসেছেন। এবারও তার ব্যতিক্রম হবে না বলেই মত বিশেষজ্ঞদের। আর তাতেই সিঁদুরে মেঘ দেখছেন অজি ক্রিকেটাররা। কামিন্স বলেছেন, ‘প্রত্যেক দলেই দু-একজন বড় মাপের ব্যাটসম্যান থাকে। ইংল্যান্ডের যেমন জো রুট, নিউজিল্যান্ডের কেন উইলিয়ামসন, তেমনই ভারত অধিনায়ক বিরাট কোহলি। ধারাভাষ্যকাররা এঁদের নিয়ে অনেক শব্দ ব্যয় করেন। কারণ, ওদের উইকেট এতটাই মূল্যবান। একবার ক্রিজে সেট হয়ে গেলে বড় রান করে অনায়াসে ম্যাচ বের করে নিতে পারে। তাই বিরাটকে উইকেটে সেট হওয়ার সময় দিলে চলবে না। ওকে তাড়াতাড়ি প্যাভিলিয়নে ফেরানোই হবে আমাদের প্রধান লক্ষ্য।’