কাশ্মীরের নাগরোটায় নিহত জঙ্গীদের কাছ থেকে উদ্ধার হল পাকিস্তানে তৈরি ওয়্যারলেস সেট এবং ওষুধ৷ যা থেকে জঙ্গীদের সঙ্গে পাকিস্তানের যোগাযোগ আরও স্পষ্ট হল৷ গত বৃহস্পতিবার নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষে নাগরোটার টোল প্লাজায় মৃত্যু হয় চার জঙ্গীর৷
জানা গিয়েছে, নিহত জঙ্গীদের কাছ থেকে যে ওয়্যারলেস উদ্ধার হয়েছে, সেটি পাক সংস্থা মাইক্রো ইলেক্ট্রনিক্স-এর তৈরি৷ ওই ওয়্যারলেস সেট পরীক্ষা করে দেখে গোয়েন্দারা নিশ্চিত, জঙ্গীদের এবং পাকিস্তানে থাকা তাদের হ্যান্ডলারদের মধ্যে নিয়মিত তথ্যের আদানপ্রদান চলছিল৷ জঙ্গীরা কতদূর পৌঁছেছে, কী পরিস্থিতি, তা জানতে টেক্সট মেসেজও পাঠায় পাকিস্তানে থাকা হ্যান্ডলাররা৷
শুধু তাই নয়, ওই মেসেজ থেকে আরও স্পষ্ট, জঙ্গীদের জন্য সীমান্তের কাছাকাছি এলাকায় আগে থেকেই কয়েকজন অপেক্ষা করছিল৷ গন্তব্যে পৌঁছে দেওয়ার জন্য একটি ট্রাকও রাখা ছিল। সম্ভবত সাম্বা সেক্টর দিয়েই জঙ্গীরা প্রবেশ করেছিল বললে অনুমান তদন্তকারীদের৷ তাঁদের আরও অনুমান, পাক অধিকৃত কাশ্মীরের শাকারগড় থেকেই জঙ্গীদের নির্দেশ দিচ্ছিল তাদের হ্যান্ডলাররা৷
জঙ্গীদের জুতো এবং পরণে থাকা প্যান্টের ট্যাগ থেকেও তাদের সঙ্গে পাকিস্তানের যোগ স্পষ্ট হয়েছে৷ তাদের কাছে যে ওষুধের স্ট্রিপ পাওয়া গিয়েছে, সেগুলির গায়ে লাহোর এবং খাইবার পাখতুনখোয়ার ছাপ পাওয়া গিয়েছে৷
নাগরোটায় নিহত জঙ্গীদের সঙ্গে পাকিস্তানের যোগ স্পষ্ট হওয়ার পরেই দিল্লীতে পাক দূতাবাসের এক আধিকারিককে এ দিন ডেকে পাঠায় কেন্দ্রীয় সরকার৷ পাকিস্তানের মাটি থেকে জঙ্গী কার্যকলাপ রুখতে ইসলামাবাদ যাতে ব্যবস্থা নেয়, এই মর্মে কড়া বার্তা দেওয়া হয়েছে পাক দূতাবাসের ওই আধিকারিককে৷ নিজেদের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করতে ভারত যে কঠোর পদক্ষেপে পিছপা হবে না তাও পাকিস্তানের দূতকে বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছে বলে শীর্ষ সরকারি সূত্রকে উদ্ধৃত করে দাবি করেছে সংবাদসংস্থা এএনআই৷
২৬/১১-এর বর্ষপূর্তিতে ওই জঙ্গীদের ভারতে বড়সড় হামলা চালানোর পরিকল্পনা ছিল বলে গোয়েন্দারা মনে করছেন৷ জইশ ই মহম্মদ জঙ্গী গোষ্ঠীই ভারতে বড়সড় হামলা চালাতে এই চারজনকে পাঠিয়েছিল বলে তদন্তে উঠে এসেছে৷