বিস্তর টালবাহানা চলার পর অবশেষে বিহারে নয়া মুখ্যমন্ত্রী কে হবেন, তা নিয়ে জল্পনার অবসান হয়েছে। কিন্তু উপ-মুখ্যমন্ত্রী পদ নিয়ে এখনও চরম ধোঁয়াশা জিইয়ে রাখল বিজেপি। এই পদের জন্য একাধিক নাম উঠে এসেছে। এদিকে, জল্পনা আরও বাড়িয়েছে প্রাক্তন উপ-মুখ্যমন্ত্রী সুশীল মোদীর টুইট। বিজেপি সূত্রের খবর, এবার বিহারের উপমুখ্যমন্ত্রী পদে বসছেন না তিনি। যার ফলে গেরুয়া শিবিরের অন্দরের কোন্দল নিয়ে জল্পনা তুঙ্গে উঠেছে।
আজ এনডিএ জোটের বৈঠকে নেতা হিসেবে নীতীশকে বেছে নেন জেডিইউ, বিজেপি, বিকাশশীল ইনসান পার্টি এবং হিন্দুস্তান আওয়াম মোর্চার বিধায়করা। বৈঠকে বিজেপি শীর্ষ নেতৃত্বের তরফে উপস্থিত ছিলেন রাজনাথ সিংও। তবে উপ মুখ্যমন্ত্রী পদের জন্য এদিন কারোর নাম ঘোষণা করা হয়নি।
এদিনের বৈঠকে বিধানসভায় এনডিএ-র নেতা হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন নীতীশ কুমার। তাঁর ডেপুটি হিসেবে নির্বাচন করা হয়েছে সুশীল মোদীকে। আবার বিহার বিজেপির প্রধান হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন দীর্ঘদিন আরএসএসের সঙ্গে দলের সমন্বয় রক্ষাকারী তারকিশোর প্রসাদ। তাঁকে উপমুখ্যমন্ত্রী পদেও বসানো হতে পারে বলে সূত্রের খবর। কিন্তু সুশীল মোদীকে কেন সরানো হচ্ছে? তা নিয়ে ইতিমধ্যে জল্পনা তৈরি হয়েছে। কেউ কেউ বলছেন, বিহারে গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব মেটাতেই এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে উচ্চ নেতৃত্ব।
এদিন বৈঠক শেষে জল্পনা আরও বাড়িয়ে দেয় সুশীল মোদীর টুইট। লেখেন, “গত ৪০ বছরের রাজনৈতিক জীবনে বিজেপি ও সংঘ পরিবার অনেক কিছু দিয়েছে। তাই এবার তাঁরা যে দায়িত্ব দেবে তা তাই পালন করব। তবে দলীয় কর্মীর পদ কেউ কেড়ে নিতে পারবে না।” এই টুইট দেখে রাজনৈতিক মহলের একাংশের ধারণা, উপমুখ্যমন্ত্রী পদ না পেয়ে কিছুটা ক্ষুণ্ন সুশীল মোদী।