মহারাষ্ট্রের ‘মহানাটকের’ কথা এখনও ভুলে যায়নি দেশবাসী। ২০১৯ সালে মহারাষ্ট্রের ২৮৮ আসনের বিধানসভা নির্বাচনে একক সংখ্যাগরিষ্ঠ দল হিসেবে বিজেপি পেয়েছিল ১০৫টি আসন। কিন্তু তাদের জোটসঙ্গী শিবসেনা মুখ্যমন্ত্রীত্বের পদ দাবি করায় সমঝোতা ভেঙে যায়। এবং শিবসেনা মাত্র ৫৬টি আসনে জিতে এনসিপি ও কংগ্রেসের সমর্থন নিয়ে যৌথ ভাবে সরকার গড়ে। মুখ্যমন্ত্রী পদে বসেন শিবসেনা নেতা উদ্ধব ঠাকরে। তারপর থেকেই মহারাষ্ট্রে অপারেশন লোটাস-এর চেষ্টা করে চলেছে গেরুয়া শিবির। এবার যেমন শরদ পাওয়ার এনডিএতে যোগ দিলে ‘বড় পদ’ পাবেন বলে ঘোষণা করে দিলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী রামদাস আটাওয়ালে।
বর্ষীয়ান এনসিপি নেতার প্রতি মন্ত্রীর উপদেশ শিবসেনার সঙ্গে থেকে তিনি কোনও সুবিধাই পাবেন না, ফলে মহারাষ্ট্রের শিবসেনা-এনসিপি-কংগ্রেসের জোট ভেঙ্গে শরদ পাওয়ারের বেরিয়ে আসটাই বুদ্ধিমানের কাজ। একটি সাংবাদিক সম্মেলনে আটাওয়ালে বলেন, ‘শিবসেনার উচিত বিজেপির সঙ্গে হাত মেলানোর। যদি শিবসেনা আমাদের সঙ্গে না আসে তাহলে আমি এনসিপি নেতা শরদ পাওয়ারের কাছে আবেদন করছি, রাজ্যের উন্নতির জন্য উনি এনডিএতে যোগ দিন। ভবিষ্যতে উনি খুব বড় পদ পেতে পারেন। শিবসেনার সঙ্গে থাকার কোনও সুবিধাই নেই।’
প্রসঙ্গত, সম্প্রতি সুশান্ত সিং রাজপুতের মৃত্যু তদন্ত এবং কঙ্গনা রানাওতের বাড়ি ভাঙাকে কেন্দ্র করে শিবসেনা-বিজেপির সংঘাত চরমে পৌঁছেছে। এই পরিস্থিতিতে দু’দিন আগেই হঠাৎ করে মুম্বইয়ের এক বিলাসবহুল হোটেলে মহারাষ্ট্রের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফডনবিশের সঙ্গে শিবসেনা নেতা সঞ্জয় রাউত দেখা করেন। রাউত অবশ্য জানিয়েছেন, দলীয় মুখপত্র ‘সামনা’র জন্য সাক্ষাৎকার নিতে তিনি ফডনবিশের সঙ্গে দেখা করেছেন এবং তার এই সাক্ষাতের বিষয়টি সুপ্রিমো উদ্ধব ঠাকরে জানতেন। রাউত যাই বলুন, রাজনৈতিক মহলে বিষয়টি নিয়ে প্রবল চর্চা শুরু হয়েছে। আর এই পরিস্থিতিতে পাওয়ারকে এনডিএতে যোগ দেওয়ার জন্য আটাওয়ালের আমন্ত্রণ জল্পনায় আরও ইন্ধন জোগাবে বলেই মনে করছেন পর্যবেক্ষকরা।