গত শুক্রবার তিন পাতার মোট আট দফা গাইডলাইন প্রকাশ করে ইউজিসি। ওই গাইডলাইনে বলা হয়, ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষ এবং ২০২১‐২২ শিক্ষাবর্ষের পঠনপাঠনের ক্ষতি আটকাতে প্রয়োজন হলে সপ্তাহে ৬ দিন ক্লাস নিতে হবে প্রত্যেকটি কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়গুলিকে। কাটছাঁট করতে হবে এককালীন ছুটিগুলিকেও। সমস্ত রকম কোভিড বিধি মেনেই ক্লাস নিতে হবে।
এরপরই কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রী আগামী নভেম্বর থেকে কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়ের পঠনপাঠন শুরুর কথা বলেছিলেন। সেই অনুযায়ী, আগামী নভেম্বর থেকে শুরু হচ্ছে স্নাতকের ক্লাস। তবে স্নাতকোত্তরে ডিসেম্বরের আগে কোনো ক্লাস শুরু হচ্ছে না। বর্তমান পরিস্থিতিতে কোনওভাবেই কলেজ কিংবা বিশ্ববিদ্যালয়ে শারীরিক উপস্থিতি সম্ভব নয় বলেও এদিন সাফ জানালেন রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়।
আজ রাজ্যের উপাচার্যদের সঙ্গে ভার্চুয়াল বৈঠক করেন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। তারপরই স্নাতকোত্তরের ক্লাস নিয়ে সিদ্ধান্তের কথা জানিয়ে দেন তিনি। বলেন, “৩১ অক্টোবর স্নাতকোত্তরে ফলপ্রকাশ। তারপরই পয়লা নভেম্বর থেকে ক্লাস শুরু করা সম্ভব নয়। সেই সময় ভর্তি প্রক্রিয়া শুরু হবে। ১ ডিসেম্বরে স্নাতকোত্তরের ক্লাস শুরু হবে। তবে তা অনলাইনে। উৎসবের জন্য আমাদের শিক্ষাবর্ষ পিছোচ্ছে।”
এ তো নয় গেল স্নাতকোত্তরের কথা। কিন্তু স্নাতকের ক্লাসের কী হবে? সে বিষয়টিও এদিনের বৈঠকে স্পষ্ট করে দেন বাংলার শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। তিনি বলেন, “আগামী ২ নভেম্বর থেকে প্রথম বর্ষের ক্লাস নেওয়া শুরু হবে। তবে তা হবে পুরোপুরি অনলাইনে।” বর্তমান কোভিড পরিস্থিতিতে কোনোভাবেই কলেজে শারীরিকভাবে উপস্থিতি সম্ভব নয় বলেই আজ সাফ জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী।