দেশজুড়ে করোনা আবহের মধ্যেই সংসদে শুরু হয়েছিল বাদল অধিবেশন। এবার সেই করোনার কোপেই বুধবারই শেষ হয়ে হয়ে গেল অধিবেশন। তবে বিরোধী শূন্য রাজ্যসভায় দু’দিনে ১৫টি বিল পাশ করিয়ে নিয়েছে কেন্দ্র। যা নিয়ে ফের বিতর্ক তৈরি হয়েছে। এর মধ্যে নয়া শ্রম বিলও রয়েছে। যার বিরোধিতা করেছিল আরএসএস সমর্থিত শ্রমিক সংগঠনও। বিরোধীশূন্য রাজ্যসভায় এভাবে বিল পাশ করানো গণতন্ত্রকে খুন করার সামিল বলে অভিযোগ করেছে তৃণমূল এবং কংগ্রেস।
এবার একাধিক কোভিড বিধি মেনে ১৮ দিনের জন্য অধিবেশন শুরু হয়েছিল। শুরুর দিনই বিপত্তি। একই দিনে করোনা আক্রান্ত হন ২৭ জন সাংসদ। তারপরেও বিধি মেনে অধিবেশন চলছিল। একাধিক গুরুত্বপূর্ণ বিলও পাশ হয়। এর মধ্যে কৃষি বিল নিয়ে রবিবার উত্তাল হয় রাজ্যসভা। নিয়মভঙ্গের অভিযোগ তুলে আট সাংসদকে বহিষ্কার করা হয়। এরপরই বিরোধীরা উচ্চকক্ষের অধিবেশন বয়কট করেন। সংসদের বাইরে আন্দোলনে নামেন। কৃষি বিল ও সাংসদদের বহিষ্কারের প্রতিবাদে লোকসভার বিরোধীরাও গতকাল থেকে অধিবেশন বয়কট করেন। বুধবারও অধিবেশনে যোগ দেননি তাঁরা। এরপরই এদিন অনির্দিষ্টকালের জন্য অধিবেশন স্থগিত করে দেওয়া হয়।
প্রসঙ্গত, গত দু’দিন ধরে রাজ্যসভা অধিবেশন বয়কট করেছিল বিরোধীরা। এর মাঝেই ১৫ টি বিল পাশ করিয়েছে মোদি সরকার। মঙ্গলবার সাতটি ও বুধবার আটটি বিল পাশ করানো হয়। এর মধ্যে শ্রম আইনের বিতর্কিত বিলটিও আছে। যাতে ন্যূনতম ৩০০ জন কর্মী থাকা সংস্থা সরকারকে না জানিয়েই ছাঁটাই করতে পারবে। বিলটির ঘোরতর বিরোধিতা করেছিল শ্রমিক সংগঠনগুলি। যার মধ্যে আরএসএস সমর্থিত শ্রমিক সংগঠনও রয়েছে। সেই বিলও বিরোধিতা ছাড়াই এদিন পাশ হয়ে যায়। এরপরই সংসদের দুই কক্ষের অধিবেশই স্থগিত করে দেওয়া হয়।
রাজনৈতিক মহলের দাবি, কৃষি ও নয়া শ্রমবিল নিয়ে বিরোধীদের আন্দোলনের জেরে চাপে কেন্দ্র। বিরোধীরা বয়কটের দাবি থেকে সরে আসছে না। সে কথা মাথাই রেখেই করোনা ‘অজুহাতে’ সংসদের অধিবেশন স্থগিত করল কেন্দ্র।