কৃষিবিল নিয়ে এখনও অবধি অচলাবস্থা জারি সংসদের অন্দরমহলে। বিল বাতিলের দাবিতে রাজ্যসভার ভেতরেই ধর্ণায় বসেছেন বিরোধী সাংসদরা। যার ফলে বিরোধীদের অনুপস্থিতিতেই একের পর এক বিল পাশ হয়ে যাচ্ছে রাজ্যসভায়। কৃষক বিলের মতই বুধবার লেবার কোড বিল পাশ হয়ে গিয়েছে সংসদের দুই কক্ষে। তড়িঘড়ি এই বিল পাশের বিরুদ্ধে এবার সরব হয়ে উঠলো বিজেপির অন্যতম ধর্মীয় শাখা আরএসএস-র শ্রমিক সংগঠন।
সংগঠনের জেনারেল সেক্রেটারি পবন কুমার এদিন সংবাদমাধ্যমকে জানান, “যেভাবে তিনটি শ্রমিক বিল সংসদে পাস করানো হল তার ঘোর বিরোধিতা করছি আমরা।” তিনি বলেন, “অত্যন্ত তাড়াহুড়ো সঙ্গে শ্রমিক সংক্রান্ত তিনটি বিল পাশ করানো হয়েছে সংসদে। এটা কোনোভাবেই ঠিক নয়। এ বিষয়ে বিস্তারিত কোনও আলোচনাই হয়নি। আমাদের গুরুত্বপূর্ণ দাবিগুলো মানা হয়নি সরকারের তরফে।”
এখানেই না থেমে তাঁর দাবি, “সামাজিক সুরক্ষা কোডের ভিত্তিতে সমস্ত শ্রমিকদের সামাজিক সুরক্ষা নিশ্চিত ও বাস্তবায়িত করাই আমাদের লক্ষ্য ছিল। দেশের সমস্ত শ্রমিকের সামাজিক সুরক্ষা নিশ্চিত করাটা সরকারের সিদ্ধান্ত হওয়া উচিত। কিন্তু সরকার সেটা করেনি। আমরা সরকারের কাছে দাবি জানিয়েছিলাম যে ‘কোড অন্ড অকুপেশনাল সেফটি’তে যে সুরক্ষার কথা বলা হয়েছে কর্মীদের জন্য সেটাও বাস্তবায়িত করা হোক। কিন্তু যে বিল পাশ করা হলো সেখানে এই সুরক্ষা শুধুমাত্র সেই সমস্ত কর্মীদের দেওয়া হবে যে সংস্থায় ১০ কিংবা তার বেশি শ্রমিক কাজ করেন।”
রাজ্যসভায় সদ্য পাস হওয়া শ্রমিক বিলের বিরুদ্ধে আরএসএসের তরফে আরও জানানো হয়েছে, “যে বিল পাস হয়েছে তার প্রেক্ষিতে ভারতীয় শ্রমিক সঙ্ঘের কড়া বিরোধিতার মুখে পড়তে হবে কেন্দ্র সরকারকে।” এরপর আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দিয়ে তাঁদের পক্ষ থেকে স্পষ্টভাবে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, “২ থেকে ৪ অক্টোবর তিন দিনের একটি ভার্চুয়াল কনফারেন্স করবে শ্রমিক সংগঠন যেখানে অংশগ্রহণ করবেন তিন হাজার শ্রমিক। এরপরই মোদী সরকারের বিরুদ্ধে পরবর্তী রণনীতি ঠিক করবে আরএসএস।”