সুশান্ত মামলার তদন্তে বর্তমানে মুখ্য ভূমিকায় নারকোটিক্স কন্ট্রোল ব্যুরো। সুশান্তের মৃত্যুর পর থেকে প্রথমে মুম্বই পুলিশ, তারপর বিহার পুলিশ, সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে সিবিআই, মাদক যোগ খতিয়ে দেখতে আবার নারকোটিক্স কন্ট্রোল ব্যুরো, আর্থিক তছরুপের মামলা খতিয়ে দেখছে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টোরেট। সূত্রের খবর মানলে এবার সুশান্ত সিং রাজপুতের মৃত্যুর তদন্তের সঙ্গে যুক্ত হতে চলেছে ন্যাশনাল ইনভেস্টিগেশন এজেন্সি বা জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা।
ইতিমধ্যেই শোনা গিয়েছে, NCB আধিকারিকদের জেরার মুখে একাধিক বলিউড তারকার নাম নিয়েছেন ট্যালেন্ট ম্যানেজমেন্ট সংস্থা KWAN-এর কর্মী জয়া সাহা। আজ দীপিকা পাড়ুকোনের ম্যানেজার করিশ্মা প্রকাশকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে।
সূত্রের খবর, NCB আধিকারিকদের জিজ্ঞাসাবাদে নাকি জয়া সাহা জানিয়েছেন, শ্রদ্ধা কাপুরকে নেশার জন্য সিবিডি অয়েল জোগাড় করে দিয়েছিলেন তিনি। ঘটনায় দিয়া মির্জার নামও জড়িয়েছে। শোনা গিয়েছে, দীপিকা পাড়ুকোন, দিয়া মির্জাকে সমন পাঠাতে পারে NCB।
অন্যদিকে, বিস্ফোরক মন্তব্য করেছেন রিয়া। রিয়া জানিয়েছেন, তাঁকে ব্যবহার করেছেন সুশান্ত সিংহ রাজপুত। শুধু তাঁকেই নয়, তাঁর ভাই শৌভিক এবং বাকি কর্মচারীদেরও প্রয়োজনে কাজে লাগিয়েছেন অভিনেতা। বম্বে হাইকোর্টে ৪৭ পাতার জামিনের আবেদনপত্রে বিস্ফোরক রিয়া চক্রবর্তী।
সুশান্তের পরিচারক নীরজ সিবিআইকে জেরায় জানিয়েছিলেন, অভিনেতাকে প্রায়শই জয়েন্ট (গাঁজা) বানিয়ে দিতেন তিনি। এমনকি মৃত্যুর দিন কয়েক আগেও সুশান্তের নির্দেশমতো বেডরুমে একটি বাক্সে গাঁজা বানিয়ে রেখে দিয়েছিলেন নীরজ। সুশান্তের মৃত্যুর পর সেই বাক্স ফাঁকা অবস্থায় মেলে। সেই ঘটনা উল্লেখ করে এ দিন জামিনের আবেদনপত্রে রিয়া লেখেন, “এর থেকেই প্রমাণিত হয় একমাত্র সুশান্তই মাদক নিত। আর নিজেই মাদকাভ্যাস চালিয়ে রাখার জন্য আশেপাশের মানুষদের ব্যবহার করত।’’