কৃষি বিল নিয়ে গত কয়েকদিন ধরে উত্তপ্ত সংসদ। এই বিলের ফলে দেশে চাষিদের অর্থনৈতিক অবস্থা আরও খারাপ হবে বলে একযোগে সরব বিরোধীরা। এই পরিস্থিতিতেও প্রতিদিনই কিন্তু ঘটছে কৃষক আত্মহত্যার ঘটনা। কোনও কারণে ফসলের দাম না মিললে ঋণে জর্জরিত হতে হচ্ছে তাঁদের। আবার ফসল বিমার টাকাও মিলছে নামমাত্র। দীর্ঘদিন ধরে এই ধরনের আর্থিক সমস্যায় জর্জরিত দেশের চাষিরা। সম্প্রতি মধ্যপ্রদেশের একটি ঘটনা সামনে এসেছে, যেখানে একজন চাষিকে এরকমই সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়েছে। একটি সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত খবর অনুযায়ী, ১ লক্ষ টাকার ফসল ক্ষতি হওয়ার পরেও সরকার থেকে বিমার টাকা হিসেবে ওই চাষি পেয়েছেন মাত্র এক টাকা!
শুনতে অবাক লাগলেও ঘটনাটি সত্যি। পুরানলাল নামে ওই চাষি মধ্যপ্রদেশের বেতুলের বাসিন্দা। চাষবাস করেই চলে সংসার। নিজের আড়াই হেক্টর জমিতে সম্প্রতি চাষ করেছিলেন। কোনও কারণে ফসল নষ্ট হওয়ায় বিমার টাকার জন্য সরকারের কাছে আবেদন জানান। এরপরই মধ্যপ্রদেশ সরকার ২২ লক্ষ চাষির অ্যাকাউন্টে বিমার টাকা পাঠিয়েছে। কিন্তু অবাক করা কাণ্ড, পুরানলালের অ্যাকাউন্টে ঢোকে মাত্র ১ টাকা। দেখা গিয়েছে, তাঁর নামে ওই টাকাই নির্ধারিত হয়েছে। এছাড়া বেতুলের আরও দুই চাষির মধ্যে একজন পেয়েছেন ৭০ টাকা, আরেকজন পেয়েছেন ৯২ টাকা।
কেন এই সামান্য অঙ্কের বিমার টাকা দেওয়া হল? নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক আধিকারিক জানান, অনেক চাষির অ্যাকাউন্টেই ২০০ টাকার কম গিয়েছে। তাঁদের নামের তালিকা তৈরি করে ফের বিমা কোম্পানিকে পুনর্বিবেচনার জন্য পাঠানো হয়েছে। দপ্তরের তরফেও ওই বিমা সংস্থার সঙ্গে দ্রুত কথা বলা হবে। প্রসঙ্গত, বেতুলে ৬৪ হাজার ৮৯৩ জন চাষিকে ক্ষতিপূরণ দেওয়া হয়েছে। খরচ হয়েছে প্রায় ৮২ কোটি টাকা। কিন্তু অনেকেই এত কম অর্থ পেয়েছেন যে, তা দিয়ে বীজের দামও উঠবে না।