কৃষি বিল নিয়ে তুঙ্গে উঠেছে রাজনৈতিক তরজা। মোদী সরকার যেমন এই বিলকে কৃষকের স্বার্থের পক্ষে বলে ব্যাখ্যা করছে, তেমনি বিরোধীরা এই বিলকে কৃষক বিরোধী বলে আখ্যা দিয়েছে। তবে বিরোধীদের প্রতিবাদে কর্ণপাত না করেই রীতিমতো গায়ের জোরেই গতকাল রাজ্যসভায় দু’টি কৃষি বিল পাস করিয়ে নিয়েছে কেন্দ্র। শুধু তাই নয়, রাজ্যসভায় গতকাল কৃষি বিল বিরোধী প্রতিবাদের সময় হাঙ্গামার কারণে ডেরেক ও’ব্রায়েন, দোলা সেন সহ ৮ বিরোধী সাংসদকে সাসপেন্ড করেন চেয়ারম্যান। তাঁদের বাকি অধিবেশনের জন্য সাসপেন্ড করা হয়েছে। এ প্রসঙ্গে তৃণমূল সাংসদ সৌগত রায় বলেন, ‘গণতান্ত্রিক অধিকার খর্ব করা হচ্ছে।’
তাঁর দাবি, ‘যেভাবে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হল, তা সাংসদদের গণতান্ত্রিক অধিকার খর্ব করার সামিল। এটি একটি অগণতান্ত্রিক সিদ্ধান্ত। ভোট না করে যেভাবে কেবলমাত্র ধ্বনি ভোটে রাজ্যসভায় কৃষি বিল পাস করানো হয়েছে, ওই সাংসদরা তারই প্রতিবাদ করেছিলেন।’ তৃণমূলের রাজ্যসভার মুখ্য সচেতক সুখেন্দুশেখর রায় বলেন, রাজ্যসভার ডেপুটি চেয়ারম্যান শাসকদলের মর্জিমতো কাজ করেছেন। তিনি কোনও আইনেরই তোয়াক্কা করেননি। তাঁর আচরণ নজিরবিহীন এবং বেআইনি। যেভাবে আট সাংসদকে সাসপেন্ড করা হয়েছে, তা হল ভবিষ্যতে তাঁদের কণ্ঠরোধ করার প্রয়াস। এই যদি আমাদের দেশের সংসদীয় গণতান্ত্রিক পরিস্থিতি হয়, তাহলে এ দেশ নিশ্চিতভাবে সংখ্যাধিক্যতার শিকার হতে চলেছে।’