নাবালিকা অপহরণ ও ধর্ষণে অভিযুক্ত বলেই অত্যাচার নাকি মুসলমান হওয়ার জন্য হাত কেটে নেওয়া হল যুবকের? যোগী রাজ্যের শাহরানপুরে হাত কাটা অবস্থায় যুবককে উদ্ধারের ঘটনায় এমনই প্রশ্নের ভিড়। পুলিশের দাবি, ধর্ষণে অভিযুক্ত হাতেনাতে পাকড়াও করতে পারার পরই হাত কেটে নিয়েছে উত্তেজিত জনতা। যদিও সেই দাবি মানতে নারাজ ওই যুবকের পরিজনেরা। তাঁদের দাবি, কেবলমাত্র মুসলমান হওয়ার জেরে এহেন অত্যাচার করা হয়েছে। পুলিশের বিরুদ্ধে নিজের মতো করে ঘটনাটিকে সাজানোর অভিযোগও উঠেছে।
পুলিশ সূত্রে খবর, গত ২৩ আগস্ট রেল কলোনিতে অভিভাবকদের সঙ্গে ঘুমোচ্ছিল বছর সাতেকের এক শিশু। তাকে অপহরণ করে ওই যুবক। এমনকী তাকে ধর্ষণও করা হয়। পরিজনেরা ওই শিশুকে যুবকের কবল থেকে উদ্ধার করে। তবে যুবককে ধরতে পারেনি তারা। পরিবর্তে কোনওক্রমে পালিয়ে বাঁচে সে। তার ঠিক পরেরদিনই রেললাইনের পাশ থেকে হাতকাটা অবস্থায় ওই যুবককে উদ্ধার করে রেলপুলিশ। পুলিশের দাবি, শিশুর পরিবারের লোকজন হাত কেটে রেললাইনের পাশে ফেলে রেখেছিল তাকে। এই ঘটনা শিশুর পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে পকসো আইনে মামলা রুজু করা হয়েছে।
যদিও ওই যুবকের দাবি আবার একেবারে অন্যরকম। তার দাবি, শাহারানপুর থেকে চাকরির খোঁজে হরিয়ানার পানিপথে গিয়েছিল সে। বেশ কয়েকজন ব্যক্তি তার ধর্ম সম্পর্কে নানা প্রশ্ন করে। হাতে ৭৮৬ নম্বর লেখা আছে দেখে বুঝতে পারে মুসলমান। বোঝার পরই হামলা চালানো হয়। কেটে নেওয়া হয় দু’টি হাতও। এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতেও ওই যুবকের পরিজনেরা একটি মামলা রুজু করেছে। শিশুর পরিবার এবং যুবকের দাবি খতিয়ে দেখছেন তদন্তকারীরা।