পরীক্ষার্থীরা প্রবল অসুবিধায় পড়বে। এই কারণে নেট ও জেইই পরীক্ষা পিছিয়ে দেওয়ার দাবি আগেই জানিয়েছিলেন বিভিন্ন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী থেকে অভিভাবক সকলে। সেইসময় প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি দিয়েছিলেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও। তারপরেও পরীক্ষাকেন্দ্রের বন্দোবস্ত নিয়ে মঙ্গলবার রাজ্যকে চিঠি দেন ন্যাশনাল টেস্টিং এজেন্সি। এরপর এদিন ফের কেন্দ্রকে চিঠি দিলেন মমতা।
এদিন চিঠি পাঠিয়ে মমতা ফের আবেদন করলেন, পরীক্ষা নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ পুনর্বিবেচনা করতে কেন্দ্র যাতে রিভিউ পিটিশান দাখিল করে। তবে এই আপত্তিতে কান দিতে রাজিই নয় কেন্দ্র। এই করোনা আবহে পরীক্ষার আয়োজন করলে যে দেশের প্রতিটি প্রান্তের পরীক্ষার্থীদের চরম সমস্যার সম্মুখীন হতে হবে, সেই বিষয়ে মাথাই ঘামাচ্ছে না কেন্দ্র। ইতিমধ্যে এই দুটি পরীক্ষা নিয়ে গাইডলাইনও জারি করে দিয়েছে ন্যাশনাল টেস্টিং এজেন্সি।
জুলাইয়ের শেষে নেট এবং জেইই পরীক্ষা হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু করোনা আবহে এই গুরুত্বপূর্ণ প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষা প্রথমেই পিছিয়ে দেওয়ার দাবি জানান পড়ুয়ারাই। তা বিবেচনা করে কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রী জানিয়েছিলেন, ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের সর্বভারতীয় প্রবেশিকা পরীক্ষা জেইই-এর মেন পরীক্ষা হবে ১-৬ সেপ্টেম্বরের মধ্যে। আর ডাক্তারিতে ভর্তির জন্য সর্বভারতীয় প্রবেশিকা পরীক্ষা নেট হবে ১৩ সেপ্টেম্বর। কিন্তু সেপ্টেম্বরেও সেই পরীক্ষা পিছনোর দাবিতে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয় অভিভাবকদের একাংশ। তবে এই সেই আবেদনও খারিজ করে দেয় সুপ্রিম কোর্ট। কিন্তু এইসময় পরীক্ষা হলে সমস্যার সম্মুখীন হবে দেশের বিভিন্ন প্রান্তের পড়ুয়ারাই। সেইজন্যই আজ মমতা ফের চিঠি পাঠিয়েছিলেন। যা গ্রাহ্যই করল কেন্দ্র।