সরকারি হাসপাতালের বাইরে বসে থাকা এক গৃহহীন বৃদ্ধা মহিলাকে মারধরের অভিযোগ উঠল ওই হাসপাতালের নিরাপত্তারক্ষীর বিরুদ্ধে। সিসিটিভি ফুটেজে ঘটনার ভিডিও রেকর্ড হয়। সেই ভিডিও ভাইরাল হতেই শুরু হয় সমালোচনা। অবশেষে গ্রেফতার করা হয়েছে ওই নিরাপত্তারক্ষীকে।
ঘটনাটি ঘটেছে উত্তরপ্রদেশের প্রয়াগরাজে। ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে স্বরূপ রাণী নেহরু হাসপাতালের নিরাপত্তারক্ষী সঞ্জয় মিশ্র হাসপাতালের বাইরে বসে দেখা গৃহহীন এক বৃদ্ধাকে লাথি ও ঘুঁষি মারছে। কাঁদছেন ওই বৃদ্ধা। সাহায্যের আবেদন করছেন তিনি। কিন্তু তাঁর সাহায্যের জন্য কেউ এগিয়ে আসেনি। সঞ্জয়ের পায়ে ধরে ক্ষমা চান ওই বৃদ্ধা। কিন্তু তাতেও মারধর থামেনি।
পুলিশ সূত্রে খবর, ওই বৃদ্ধার বয়স ৮০-র কাছাকাছি। বৃহস্পতিবার রাতে প্রয়াগরাজের ওই হাসপাতালের বাইরে আশ্রয় নেন ওই মহিলা। মাটিতেই শুয়েছিলেন তিনি। তখনই সঞ্জয় এসে তাঁকে লাথি মারতে শুরু করে। ব্যথায় চিৎকার করতে থাকেন বৃদ্ধা। কিন্তু মারধর থামেনি। ভিডিওতে দেখা যায় সেখানে আরও দুই ব্যক্তি দাঁড়িয়ে রয়েছেন। কিন্তু তাঁরা সাহায্যের জন্য এগিয়ে আসেননি।
সিসিটিভিতে এই গোটা মারধরের ভিডিও রেকর্ড হয়। তারপরে তা সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়ে। আর তারপরেই শুরু হয় সমালোচনা। ক্ষোভ উগরে দেন নেটিজেনরা। একজন লেখেন, ‘কেন প্রয়াগরাজের ওই হাসপাতালের নিরাপত্তারক্ষী বৃদ্ধা মহিলাকে মারছে? এভাবেই কি উত্তরপ্রদেশে গরিব মানুষদের স্বাস্থ্য পরিষেবা থেকে বঞ্চিত করা হবে? এই ঘটনা খুবই লজ্জার।’
টুইট করে সমালোচনা করা হয় লালুপ্রসাদ যাদবের দল রাষ্ট্রীয় জনতা দলের তরফেও। সেখানে বলা হয়, ‘মানবতার জন্য এই ভিডিও যত বেশি সম্ভব শেয়ার হওয়া উচিত। প্রয়াগরাজে স্বরূপ রাণী নেহরু হাসপাতালে যাওয়া এক বৃদ্ধা মহিলাকে এভাবেই হাসপাতালের নিরাপত্তারক্ষী মারধর করে। ওই মহিলার মানসিক ও আর্থিক অবস্থার কথা না জেনেই এই ব্যবহার করা হয়েছে। এই সভ্য সমাজে এই ধরনের ব্যবহার কোনওমতেই মেনে নেওয়া যায় না।’