করোনা অতিমহামারীর জন্য দফায় দফায় লকডাউন হচ্ছে দেশে। এর ফলে চলতি আর্থিক বছরে শপিং মলগুলির আয় কমে হতে পারে অর্ধেক। দেশের প্রথম সারির ১০ টি মল নিয়ে সমীক্ষা চালিয়ে এই সিদ্ধান্তে পৌঁছেছে দেশের ক্রেডিট রেটিং এজেন্সি ক্রাইসিল। দেশের বিভিন্ন প্রান্তে অবস্থিত এই মলগুলির জায়গার পরিমাণ মোট ৭৫ লক্ষ স্কোয়ার ফিট।
ক্রাইসিল রেটিং-এর সিনিয়র ডায়রেক্টর শচীন গুপ্ত জানান, ‘আমরা আশা করছি লকডাউনের জন্য লিজের টাকার ৫০ থেকে ১০০ শতাংশ মকুব করে দেওয়া হবে। চলতি ত্রৈমাসিকে এবং তার পরেও ভাড়া নেওয়া হবে ৩০ থেকে ৫০ শতাংশ কম। চলতি ত্রৈমাসিক থেকে মলগুলি কিছু পরিমাণে লাভ করতে শুরু করবে। কিন্তু সামগ্রিকভাবে চলতি আর্থিক বছরে তাদের লাভ হবে আগের বছরের অর্ধেক কিংবা ৪৫ শতাংশ।’
শপিং মলগুলির লাভের এক বড় অংশ আসে মাল্টিপ্লেক্স, ফুড কোর্ট ও গেমিং জোন থেকে। কিন্তু সেগুলি এখনও খোলেনি। একটি হিসাবমতো শপিং মলের আয়ের ২২ শতাংশ আসে মাল্টিপ্লেক্স থেকে। সামাজিক দূরত্ব মেনে সেগুলি খোলা সম্ভব হচ্ছে না। এর ফলে মলের আয় কমছে।
মলের আয়ের ৭৫ শতাংশ আসে জামাকাপড়, কসমেটিকস, ইলেকট্রনিক্স ও বইয়ের দোকান থেকে। গতবছরে ওই সব দোকানে যা বিক্রি হয়েছিল, এবছর হয়েছে তার মাত্র ৩০ থেকে ৩৫ শতাংশ।
এই অবস্থা থেকে মলগুলি সহজে আগের অবস্থায় ফিরে যেতে পারবে বলে মনে করছে না ক্রেডিট রেটিং এজেন্সি। তাদের বক্তব্য, মলের বিভিন্ন দোকানকে ভাড়া এবং লিজের টাকায় ছাড় দিতে হচ্ছে। শচীন গুপ্ত বলেন, ফের যদি লকডাউন জারি হয়, তাহলে মলের মালিকরা গুরুতর সমস্যায় পড়বেন।