কুলভূষণ যাদবের জন্য আইনজীবী নিয়োগ করতে পারবে ভারত। সোমবার এই রায় দিল ইসলামাবাদ হাই কোর্ট। এর আগে আইনমাফিক কুলভূষণের জন্য একজন আইনজীবী ঠিক করেছিল পাক প্রশাসন। তবে সেক্ষেত্রে ভারত সরকার বা ধৃত প্রাক্তন নৌসেনা কর্মীর মত নেওয়া হয়নি। যার ফলে গোটা প্রক্রিয়াই যে আসলে নাটক তা স্পষ্ট হয়ে যায়।
উল্লেখ্য, কয়েকদিন আগেই পাকিস্তান দাবি করেছিল, মৃত্যুদণ্ডের পুনর্বিবেচনা চান না ভারতীয় নৌসেনার প্রাক্তন কর্মী কুলভূষণ যাদব। নিজের আইনি অধিকার প্রয়োগ করে আদালতে সাজা পুনর্বিবেচনার আরজি দাখিল করতে রাজি হননি তিনি। পাকিস্তানের অ্যাডিশনাল অ্যাটর্নি জেনারেল জানান, জুনের ১৭ তারিখ সাজা পুনর্বিবেচনার আরজি জানানোর কথা বলা হয়েছিল কুলভূষণ জাদবকে। তবে নিজের আইনি অধিকার প্রয়োগ করে কোনও আপিল করা থেকে বিরত থাকেন তিনি। এই মর্মে আগে দাখিল করা ক্ষমা প্রার্থনার আপিলের দিকেই তাকিয়ে আছেন তিনি। উল্লেখ্য, পাক সেনার দাবি, দোষী সাব্যস্ত হওয়ার পর ২০১৭ সালে পাক সেনাপ্রধান জেনারেল কামার জাভেদ বাজওয়ার কাছে মৃত্যুদণ্ড রদ করার আবেদন জানিয়ে আপিল করেছিলেন কুলভূষণ।
গত মে মাসে ’ইন্টারন্যাশনাল কোর্ট অফ জাস্টিস রিভিউ অ্যান্ড রিকনসিডারেশন অর্ডিন্যান্স ২০২০’ শীর্ষক একটি অর্ডিন্যান্স পেশ করে পাক সরকার। কয়েকদিন আগেই বিরোধীদের তুমুল প্রতিবাদের মধ্যেই সেটি পাশ হয়ে যায়। এর ফলে সেনা আদালতের রায়ের বিরুদ্ধে ইসলামাবাদ হাই কোর্টে আবেদন করা যাবে। বিশ্লেষকদের মতে, এতদিন বিচারের নামে প্রহসন করে এসেছে পাকিস্তান। বিশেষ করে পাক সেনা আদালতে বিচারপ্রক্রিয়ার নামে সেনার শীর্ষ কর্তাদের নির্দেশিকা পালন করা হয়। তবে এবার ভারত পছন্দসই আইনজীবী নিয়োগ করতে পারলে কিছুটা ন্যায়ের আশা বাড়বে।