একুশের বিধানসভায় জিতে বাংলা দখলের স্বপ্ন দেখছেন নরেন্দ্র মোদী-অমিত শাহরা। এদিকে রাজ্যের সব বুথে কমিটিই তৈরি করে উঠতে পারেনি গেরুয়া শিবির। হ্যাঁ এখনও পর্যন্ত খাতায় কলমে ৬৫ শতাংশ বুথে পূর্ণাঙ্গ কমিটি হয়েছে। বাকি ৩৫ শতাংশ বুথে দলীয় সংগঠন সেভাবে দাঁতই ফোটাতে পারেনি বিজেপি। শাসকদলকে চ্যালেঞ্জ দেওয়ার মতো পালটা মজবুত সংগঠন এখনও গড়ে তোলা সম্ভব হয়নি ওই ৩৫ শতাংশ বুথে। এই ৩৫ শতাংশ বুথে শক্তিশালী বুথ কমিটি গঠন না হওয়াটাই বিধানসভা ভোটের আগে চিন্তায় রেখেছে বঙ্গ বিজেপিকে। পাশাপাশি সংখ্যালঘু অধ্যুষিত এলাকায় সংগঠনের দুর্বলতাও ভাবাচ্ছে বিজেপি নেতাদের।
প্রসঙ্গত, বাংলার বিধানসভা নির্বাচনকে সামনে রেখে ৪২টি লোকসভা কেন্দ্রের অধীন ২৯৪টি বিধানসভা এলাকার দলের সাংগঠনিক অবস্থা, প্রাপ্ত ভোটের হিসাব, এসব কিছু নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে টানা প্রায় সাতদিন ধরে চলা দিল্লির বৈঠকে। যেখানে রাজ্য নেতাদের থেকে বিভিন্ন বিধানসভা কেন্দ্রের বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা করেছেন কেন্দ্রীয় নেতা কৈলাস বিজয়বর্গীয়, শিব প্রকাশ, অরবিন্দ মেননরা। এই আলোচনাতেই উঠে এসেছে বুথভিত্তিক সংগঠনের বিষয়টি। যেখানে দেখা যাচ্ছে ৬৫ শতাংশ বুথে দলের সংগঠন শক্তিশালী। সেখানে বুথ কমিটিও হয়েছে।
বাকি যেখানে বুথ কমিটি করা যায়নি এখনও সেগুলি মূলত মুর্শিদাবাদ, জঙ্গিপুর, বহরমপুর, মালদহ দক্ষিণ ইত্যাদি লোকসভা কেন্দ্র গুলিতে। এই লোকসভা কেন্দ্রগুলি বিজেপির দখলে নেই। আর এখানে মূলত সংখ্যালঘু অধ্যুষিত এলাকা। যেখানে বিজেপির সংগঠন অনেকটাই দুর্বল। এটা স্বীকার করে নিয়েছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষও। তাঁর কথায়, সংখ্যালঘু এলাকাগুলিতেই বুথ কমিটি করার ক্ষেত্রে একটু দুর্বলতা রয়েছে। উল্লেখ্য, রাজ্যে ৩৬টি সংখ্যালঘু অধ্যুষিত ব্লক রয়েছে। সেখানে দলের সংগঠন বাড়াতে সংখ্যালঘুদের কাছে বিজেপি ভীতি কাটানো দরকার বলে মনে করছে দলের একাংশ। যেটা নিঃসন্দেহে একটা বড় চ্যালেঞ্জ দিলীপ ঘোষদের কাছে।