করোনা রোগী সুস্থ হয়ে গেলে ডিসচার্জ সার্টিফিকেটে স্পষ্টভাবে লিখে দিতে হবে তিনি ‘নেগেটিভ’। স্বাস্থ্য ভবনকে সমস্ত হাসপাতালে এই নির্দেশই পাঠাতে বলল রাজ্য সরকার। এতে রোগী ও তাঁর পরিবারের সদস্যরা প্রায়শই প্রতিবেশীদের দ্বারা যে ধরণের সমস্যায় পড়ছেন, সেসব থেকে নিষ্কৃতি মিলবে বলেই মনে করা হচ্ছে।
করোনা কালে রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে দেখা গিয়েছে যে, আক্রান্তরা সুস্থ হয়ে ফিরলেও তাঁকে বাড়িতে ঢুকতে দিচ্ছেন না প্রতিবেশীরা। হাসপাতাল থেকে লিখে আনতে বলা হচ্ছে যে, তিনি করোনা নেগেটিভ। সদ্য দমদম পার্কেই এমন অমানবিকতার ছবি ধরা পড়েছে। এরপরই সামাজিক সচেতনতার কথা মাথায় রেখে এই সিদ্ধান্ত নিল রাজ্য সরকার। রোগীর সামাজিক ও ব্যক্তিগত সুরক্ষার স্বার্থে আরও কিছু নির্দেশ দেওয়া হয়েছে নবান্নের তরফে। জানানো হয়েছে, প্রতিবেশীদের সন্তুষ্টির কথা যেমন ভাবা হচ্ছে, তেমনই রোগীর নিরাপত্তাও ১০০% নিশ্চিত করতে হবে। সেক্ষেত্রে কোনও গাফিলতি মেনে নেওয়া হবে না। তাই রোগী তাঁর বাড়িতে নির্বিঘ্নে প্রবেশ করা থেকে নিশ্চিন্তে কম করে সাতদিন ঘরে বিশ্রাম নেওয়ার সময়ও কোনওভাবে যাতে সেই রোগীকে বিরক্ত না করা হয়, তা নিয়েও কড়া মনোভাব নবান্নের।
সম্প্রতি দমদম পার্কের বাসিন্দা করোনা আক্রান্ত এক বৃদ্ধ সুস্থ হয়ে ঘরে ফেরার মুহূর্তে তাঁকে ঢুকতে বাধা দেন প্রতিবেশীরা। পাঁচ ঘণ্টা তাঁকে অ্যাম্বুল্যান্সে বসে থাকতে হয়। সেখানেই ফের অসুস্থ হয়ে পড়েন তিনি। প্রতিবেশীরা দাবি করতে থাকেন ওই বৃদ্ধ যে সত্যিই সুস্থ এবং করোনা নেগেটিভ তা লিখে আনতে হবে। তবেই তাঁকে বাড়ি ঢুকতে দেওয়া হবে। শুধু দমদম পার্ক নয়, একাধিক জেলায় এই ধরনের ঘটনা সামনে এসেছে। সেই কারণেই এই নির্দেশ দিল নবান্ন।