বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ীই আজ থেকে কলকাতায় শুরু হয়ে গেল র্যাপিড অ্যান্টিজেন টেস্ট। বৃহস্পতিবার সকালে চেতলায় স্থানীয় বাসিন্দাদের অ্যান্টিজেন টেস্ট করা হয়। কলকাতার ১৬টি বরোয় প্রতিদিনই অ্যান্টিজেন টেস্ট হবে। দৈনিক আটশো থেকে ১ হাজার জনের টেস্টের পরিকল্পনা রয়েছে কলকাতা পুরসভার।
করোনা রোগীদের শনাক্তকরণে আরটিপিসিআর টেস্ট সময় সাপেক্ষ। দুই থেকে তিন দিন লেগে যাচ্ছে পরীক্ষার রিপোর্ট পেতে। অ্যান্টিজেন টেস্টের মাধ্যমে এক সঙ্গে ১০ জনের টেস্ট করা সম্ভব মাত্র আধ ঘণ্টার মধ্যেই। কারন গত কয়েক সপ্তাহ ধরেই করোনার উপসর্গ না থাকলেও অনেক ব্যক্তিই আক্রান্ত হচ্ছেন। তাই তাদের চিহ্নিত করার ক্ষেত্রেও এই অ্যান্টিজেন টেস্ট গুরুত্বপূর্ণ। তবে এতে ফলস নেগেটিভ রিপোর্ট আসার সম্ভাবনা রয়েছে। সে ক্ষেত্রে আরটিপিসিআর-এ মাধ্যমে কোভিড-১৯ পরীক্ষা সব থেকে কার্যকর বলেই মনে করেন চিকিৎসকেরা।
চেতলায় অহীন্দ্র মঞ্চে এদিন অ্যান্টিজেন টেস্টের সূচনায় উপস্থিত ছিলেন কলকাতা পুরসভার প্রশাসক ফিরহাদ হাকিম। করোনা রোগীকে শনাক্ত করতে আরটিপিসিআর পদ্ধতির বিকল্প নেই। তবে কোনও এলাকায় করোনার প্রভাব কতটা, তার একটি সামগ্রিক ধারণা পেতে র্যাপিড অ্যান্টিবডি এবং অ্যান্টিজেন টেস্ট করার পক্ষে রয়েছে চিকিৎসক মহল। বিভিন্ন দেশে আরটিপিসিআর-এর পাশাপাশি অ্যান্টিজেন এবং অ্যান্টিবডি টেস্টও করা হচ্ছে।
আইসিএমআর-এর পাঠানো কিট-এর মাধ্যমে শুধু কলকাতাই না, এর পাশাপাশি রাজ্যের বিভিন্ন জেলায় অ্যান্টিজেন টেস্ট করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। অ্যান্টিজেন টেস্টেও গলা এবং নাক থেকে নমুনা সংগ্রহ করা হয়ে থাকে। মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের অ্যাসোসিয়েট প্রফেসর (জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ) শঙ্কারনাথ ঝা বলেন, “অ্যান্টিজেন টেস্টের মাধ্যমে কেউ করোনা আক্রান্ত কি না, তা দ্রুত শনাক্ত করা যায়। আরটিপিসিআর টেস্টের মাধ্যমে করতে গেলে তার থেকে বেশি সময় লাগবে।”