২০১৯ সাল থেকেই মন্দার গ্রাসে দেশের অটোমোবাইল সেক্টর। তবে মনে করা হয়েছিল, গাড়ি বিক্রির চাকা একেবারে বসে গেলেও ২০২০ সালে নিশ্চয় হাল ফিরবে এই শিল্পে। কিন্তু করোনা ভাইরাসের তাণ্ডবে এখনও রাহুমুক্তি ঘটল না দেশের গাড়ি বাজারের। করোনা রুখতে লকডাউন, ঘরবন্দি জীবন, তালাবন্দী ব্যবসা— এপ্রিল, মে ও জুনের বেশির ভাগ সময়ে এই ছবিটাই দেখেছে গোটা দেশ। যার ফলে চলতি অর্থবর্ষের ওই প্রথম তিন মাসে ভারতের গাড়ি রপ্তানি ৭৬.৫৮ শতাংশ কমে গিয়েছে।
গাড়ি সংস্থাগুলির সংগঠন সিয়ামের দেওয়া হিসেব অনুযায়ী, আগের বছর এই সময় যেখানে ১,৩৬,২০৪ গাড়ি বিদেশের বাজারে গিয়েছিল বিক্রির জন্য, এ বার সেখানে তার পরিমাণ মাত্র ৩১,৮৯৬টি। ভ্যান, যাত্রী গাড়ি ও ইউটিলিটি ভেহিক্ল নিয়ে সার্বিক যাত্রিযান (প্যাসেঞ্জার ভেহিক্ল) ধরা হলে রফতানি কম ৭৫ শতাংশ। আগের বারের ১,৭৩,০৫৪ থেকে কমে তার সংখ্যা এ বার ৪৩,৭৪৮।
সংশ্লিষ্ট মহলের দাবি, এটা প্রত্যাশিতই ছিল। প্রথম ধাক্কা এসেছিল অর্থনীতির ঝিমুনির ফলে চাহিদা হুড়মুড়িয়ে কমায়। তারপরে করোনার জেরে হওয়া আর্থিক সঙ্কট সেই চাহিদাকে আরও রক্তাক্ত করে। ভারত থেকে যাত্রী গাড়ি রপ্তানি হয় প্রধানত এশিয়া, ইউরোপ, আফ্রিকা, লাতিন আমেরিকার বিভিন্ন দেশে। সিয়ামের ডিরেক্টর জেনারেল রাজেশ মেননের দাবি, কোভিডের দাপটে বহু গাড়ি কারখানা, ডিলারদের শো-রুম বন্ধ রাখতে হয়েছিল। বিদেশের বিভিন্ন শহরে ছিল কার্ফু। সরবরাহ ব্যবস্থাও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। যার নিট ফল আন্তর্জাতিক বাণিজ্যে ধাক্কা।