বাংলায় করোনা সংক্রমণের গ্রাফ ক্রমশ বাড়তে থাকায় সাধারণ মানুষের কপালে চিন্তার ভাঁজ বেশ কিছুটা চওড়া হয়েছে। তবে প্রশাসনের তরফে আগে থাকতেই আতঙ্কিত না হওয়ার কথা বলা হয়েছে। টেস্ট বাড়ায় করোনা আক্রান্তের সংখ্যাও বাড়বে বলেই জানিয়েছে স্বাস্থ্য দফতর। এই পরিস্থিতিতে উপসর্গহীন করোনা রোগীরাও উদ্বেগের কারণ। তাঁদের মাধ্যমে আক্রান্ত হতে পারেন বহু মানুষ। তাই শহরের উপসর্গহীন সংক্রমিতদের খুঁজে বের করতে তৎপর হল কলকাতা পুরসভা। এবার থেকে পালস অক্সিমিটার নিয়ে বাড়ি বাড়ি ঘুরে পরীক্ষা করবেন স্বাস্থ্যকর্মীরা। এবার এমনটাই জানালেন রাজ্যের স্বরাষ্ট্র সচিব আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়।
তিনি বলেন, আগে শুধুমাত্র থার্মাল গান নিয়ে পরীক্ষা করতেন স্বাস্থ্যকর্মীরা। তবে এবার তাঁদের সঙ্গে থাকবে পালস অক্সিমিটার। তার ফলে বোঝা যাবে কোনও ব্যক্তির শরীরে অক্সিজেনের মাত্রা ঠিক কীরকম রয়েছে। উল্লেখ্য, করোনা আক্রান্তদের শরীরে অক্সিজেনের মাত্রা কমে যায়। ওই পালস অক্সিমিটারের মাধ্যমে তা ধরে ফেলা সম্ভব হলে, খুব সহজেই তাঁদের পরীক্ষা করিয়ে নেওয়া যাবে। তার ফলে কোনও ব্যক্তি উপসর্গহীন করোনা আক্রান্ত কিনা, তাও বোঝা সম্ভব হবে। এছাড়াও স্বাস্থ্যকর্মীদের মাধ্যমে শহরের গরিব মানুষদের বিভিন্ন রোগের ওষুধ এবং প্রতিষেধকও দেওয়া হবে।
রাজ্যের পাশাপাশি কলকাতাতেও সংক্রমণ কিছুটা বেড়েছে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দিনকয়েক আগেই শহরে করোনা আক্রান্তের গ্রাফ উর্ধ্বমুখী হওয়ার কারণ স্পষ্ট করে জানিয়েছেন। তবে তা সত্ত্বেও শহরের আবাসনগুলি চিন্তা বাড়াচ্ছে প্রশাসনিক কর্তাব্যক্তিদের। কারণ, শনিবারই স্বরাষ্ট্র সচিব জানিয়েছেন, বসতি এলাকার তুলনায় বর্তমানে আবাসনগুলিতেই বেশি বাড়ছে সংক্রমণ। বসতি এলাকায় ঢুকে স্বাস্থ্যকর্মীদের পক্ষে পরীক্ষা করা সম্ভব হচ্ছে। কিন্তু আবাসনে তাঁদের ঢুকতে না দেওয়ার ফলে সংক্রমিতের সংখ্যা আরও বাড়ছে বলেও অনুমান করা হচ্ছে।