অন্যান্যবারের মত এবারেও মাধ্যমিকের ফলাফলে জেলারই জয়জয়কার। দেখা গেছে, প্রাপ্ত নম্বরের নিরিখে প্রথম দশের মধ্যে বাঁকুড়া জেলা থেকেই রয়েছে ১৪ জন। মাধ্যমিকের মেধা তালিকায় দ্বিতীয় স্থান অধিকার করেছে বাঁকুড়ার ওন্দা উচ্চ বিদ্যালয়ের সায়ন্তন গড়াই। তার প্রাপ্ত নম্বর ৬৯৩। সে ভবিষ্যতে বৈজ্ঞানিক হয়ে মানব জাতির কল্যাণে কাজ করতে চায় বলে জানিয়েছে।
বিজ্ঞান বিভাগের সব বিষয় সে তার বাবার কাছেই পড়েছে। বাকি প্রতিটি বিষয়ের জন্য তার এক জন করে গৃহশিক্ষক ছিলেন। এত ভাল ফল হবে তা আশাই করেনি সায়ন্তন। এই ফল তার কাছে ‘অপ্রত্যাশিত’ বলেই সে জানিয়েছে। ভাল ফলের কৃতিত্ব সে তার মা-বাবাকেই দিয়েছে। পাশাপাশি এই ফলের জন্য সে কৃতিত্ব দিয়েছে শিক্ষকদেরও। এদিন সায়ন্তন জানিয়েছে, পরীক্ষার প্রস্তুতির ফাঁকে সে গল্পের বইও নিয়মিত ভাবেই পড়ত বলে জানিয়েছে।
অন্যদিকে, ৬৯০ নম্বর পেয়ে মেধা তালিকায় তৃতীয় স্থান অধিকার করেছে কেন্দুয়াডিহি হাই স্কুলের সৌম্য পাঠক। সে মেডিক্যাল সায়েন্স নিয়ে পড়াশোনা করতে চায়। পাশাপাশি তার লক্ষ্য আইএএস উত্তীর্ণ হয়ে আমলা হওয়া। প্রতিদিন নির্দিষ্ট সময় ধরে পড়াশোনা করেই এই সাফল্য মিলেছে বলে এদিন জানিয়েছে সৌম্য। পঞ্চম স্থানে রয়েছে বিক্রমপুর আরডি হাই স্কুলের রশ্মিতা সিনহা মহাপাত্র। সে ৬৮৮ নম্বর পেয়েছে। ষষ্ঠ স্থানে রয়েছে বারো জন। তার মধ্যে রয়েছে বাঁকুড়া ক্রিশ্চিয়ান কলেজিয়েট স্কুলের সৌনক বিশ্বাস।
সপ্তম স্থানে বাঁকুড়া জেলা থেকে দু’ জনের নাম রয়েছে। বিবেকানন্দ শিক্ষায়তন হাই স্কুলের অরিত্র মাজি এবং কেন্দুয়াডিহি হাইস্কুলের সাগ্নিক মিশ্র। তাদের উভয়েরই প্রাপ্ত নম্বর ৬৮৬। অষ্টম স্থানে রয়েছে বাঁকুড়ার গড় রাইপুর গার্লস হাইস্কুলের অঙ্কিতা ঘোষ। সে পেয়েছে ৬৮৫ নম্বর। নবম স্থানে বাঁকুড়া থেকে রয়েছে বিবেকানন্দ শিক্ষা নিকেতন হাইস্কুলের অয়নদীপ শান্নিগ্রাহী এবং সোনামুখী বিন্দুবাসিনী জুবিলি হাইস্কুলের সাবর্ণ হাতি। তাদের প্রাপ্ত নম্বর ৬৮৪।
এছাড়াও, দশম স্থানে বাঁকুড়া জেলা থেকে পাঁচ জন পড়ুয়া রয়েছে। বিবেকানন্দ শিক্ষা নিকেতন হাই স্কুলের দেবত্রেয় দাস, রামহরিপুর রামকৃষ্ণ মিশন হাইস্কুলের শঙ্খশুভ্র চট্টোপাধ্যায়, বিষ্ণুপুর হাইস্কুলের অঙ্কন পাত্র, শাশপুর ইনস্টিটিউশনের অঙ্কন দাস বৈরাগ্য এবং সোনামুখী বিন্দুবাসিনী জুবিলি হাইস্কুলের প্রভাত দত্ত। তার প্রাপ্ত নম্বর ৬৮৩। মাধ্যমিকে বাঁকুড়ার এহেন সাফল্যে খুশি জেলার মানুষজন।